ধর্মের সাথে সংস্কৃতির কোন বিরোধ নেই। কিছু লোক ধর্মের সঙ্গে সংস্কৃতির বিরোধ সৃষ্টি করতে চায়। এটা মোটেও সঠিক নয়। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা একসঙ্গে উৎসব পালন করে থাকি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ৮ জেলায় নবনির্মিত শিল্পকলা একাডেমি ভবনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। কুষ্টিয়া, খুলনা, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও রংপুর জেলার নবনির্মিত শিল্পকলা একডেমিগুলোও ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলো।
বক্তৃতার প্রারম্ভে প্রধানমন্ত্রী দেশে এবং বিদেশে অবস্থানকারি সকল বাংলাদেশিদের পবিত্র মাহে রমজান, বাংলা নববর্ষ এবং আসন্ন ঈদুর ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানান।
এরপর ১৪১৪ সালে বাঙালির বর্ষবরণ পহেলা বৈশাখ উদযাপনে বারবার বাধা দেয়া এবং রমনা রটমূলে বোমা হামলার প্রসঙ্গ স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলো করাই হয়েছিলো যাতে করে আমাদের সংস্কৃতি চর্চা বন্ধ হয়ে যায়। আজ আমরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করি। এই একটা উৎসব ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এক হয়ে এক সঙ্গে উদযাপন করে। যেখানে সকলের একটা চমৎকার মিলনমেলা হয়। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের যেখানেই বাংলাদেশিরা আছে তারাই এই উৎসব পালন করে যাচ্ছে।
তিনি করোনার জন্য সতর্কতার সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আহবান জানান।
সরকার প্রধান বলেন, আমাদের এই ঐতিহ্য আমাদেরকেই ধারণ করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন এটা চর্চা করতে পারে, বিকশিত করতে পারে এবং আধুনিক প্রযুক্তির সম্মিলন ঘটিয়ে যেন এটার আরো উৎকর্র্ষ সাধণ করতে পারে সেদিকে আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। সেটা আমরা দিবো।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনবার্তা
প্রধানমন্ত্রী ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং সকল ধর্মাবলম্বীদের সহাবস্থানের কথা উল্লেখ করে বলেন, কেবল সকল ধর্মের মানুষের ধর্ম চর্চা নয় দেশের যে ক্ষুদ্র ন-ৃগোষ্ঠী রয়েছে তাদেরও সংস্কৃতি চর্চা বিকাশের ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে।
তিনি বলেন, এগুলো আবহমানকাল থেকেই আমাদের দেশের চলে আসছে, এগুলোর দিকেও আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। যে গুলো আমরা ভুলবোনা। তবে, সামনে এগিয়ে আধুনিক সংস্কৃতিকেও আমরা রপ্ত করবো।