জাতীয়

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের প্রতীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাক্ষাৎ করার পর ঢাকাস্থ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এ মন্তব্য করা হয়।

রবিবার ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়- ‘রাষ্ট্রদূত হাস পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র বিশেষত, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনার জন্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, এমপির সাথে সাক্ষাৎ করে আনন্দিত। সাইবার অপরাধ রোধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হলেও কিছু ক্ষেত্রে এ আইনের অপব্যবহার ঘটেছে বলে স্বীকার করেন আইনমন্ত্রী।’

এতে আরো বলা হয়, তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারের গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা করেন যাতে এর আওতায় বাগস্বাধীনতা বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব না করেই সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

তারা বলে, আমরা মানবাধিকার, শ্রম স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন এবং বাংলাদেশের সাথে অংশীদারত্বের প্রতীক্ষায় আছি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে রাষ্ট্রদূত হাস আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান।

তখন আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্প্রতি বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছরপূর্তি হলো। সে সম্পর্ক রক্ষার জন্য আগামীতে দুই দেশের মধ্যে এখন যেসব সমস্যা আছে, তা মিটিয়ে নতুন করে বন্ধুত্ব গাঢ় করার পথে হাঁটবে দুই দেশ।’

বৈঠকের বিষয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। এটি ছিল তার সঙ্গে প্রথম বৈঠক। বৈঠকে দুটি নির্ধারিত এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী তাকে জানান, এ আইন কখনো বাগস্বাধীনতা বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি। এটা সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য করা হয়েছে।

তিনি জানান, এর কিছু অপব্যবহার হয়েছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, অনেক দেশের সংবিধানের তুলনায় বাংলাদেশের সংবিধান আলাদা। বাংলাদেশের সংবিধানে সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতাকে আলাদাভাবে গ্যারান্টি প্রদান করা হয়েছে মৌলিক অধিকারের মাধ্যমে।

আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা যে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিসের সঙ্গে বেস্ট প্র্যাকটিসের ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরামর্শক এসেছিলেন তার সঙ্গে যে আলাপ করেছি, সেগুলো উল্লেখ করেছি। এরপর মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমাকে বললেন, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে আমাদের সহায়তা করতে চায়। আমি বলেছি, এটা অবশ্যই বিবেচনাধীন থাকবে।’

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker