রাজশাহীতে সেচের পানি না পেয়ে কৃষকের আত্মহত্যা’ বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করার জন্য গত রবিবার (২৭ মার্চ) চার সদস্যের ‘তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এ কমিটি ইতোমধ্যে রাজশাহীতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তকাজ শুরু করেছে। সেচের পানি সময়মতো না পাওয়ার কারণ উদঘাটন করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
এ বিষয়ে কৃষিসচিব বলেন, এ খবরটি জানার সাথে সাথে আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ), জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি। ‘সেচের পানি সময়মতো না পাওয়ার কারণ ও কৃষকের বিষপান’ বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা ও দোষীদের চিহ্নিত করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এ কমিটি ইতোমধ্যে তদন্তকাজ শুরু করেছে। ‘সেচের পানি দেয়ার ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর পুলিশও তদন্ত করছে, তারা ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় কৃষিসচিব এসব কথা বলেন।
আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে থাকি। এখন পর্যন্ত কৃষক পেঁয়াজের ভাল দাম পাচ্ছে। অন্যদিকে, সামনে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। এই সময়ে পেঁয়াজের দাম যাতে না বাড়ে, সেটিও আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। তাই, আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরিকল্পনা কৃষি মন্ত্রণালয়ের নেই। তবে আমরা নিবিড়ভাবে বাজার মনিটর করছি, কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭৭টি। মোট বরাদ্দ ৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৪০%, যা জাতীয় গড় অগ্রগতিরে চেয়ে ৫% বেশি। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৩৫%।