টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের স্কুলছাত্র রাহাত (১৩)হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব। র্যাবের দাবি, লুডু খেলা নিয়ে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে বন্ধুকে ‘এতিম’ বলায় তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাতে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিপ্লবকে (১৮) র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়। নিহত রাহাত কালিহাতী উপজেলার আগ বানিয়ারা গ্রামের শাহাদাত হোসেনের ছেলে। গ্রেফতারকৃত বিপ্লব একই গ্রামের নবু মিয়ার ছেলে। সে পেশায় এক জন ইট ভাটার শ্রমিক।
শনিবার (২৬মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১২ (সিপিসি-৩) এর কোম্পানি কমান্ডার মো: এরশাদুল রহমান জানান, রাহাত ও বিপ্লব দুই বন্ধু। তাদের বাড়িও পাশাপাশি। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাতে তারা কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া বাজারে বসে লুডু খেলছিল। এসময় ওই বিপ্লবকে কয়েকবার ‘এতিম’ বলে সম্বোধন করে রাহাত। এ কারণে রাহাতের ওপর ক্ষিপ্ত হয় তার বন্ধু বিপ্লব। তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে গলা কেটে হত্যা
হত্যার উদ্দেশ্যে বিপ্লব বাজারের একটি দোকান থেকে ব্লেড ও সিগারেট কেনে। এরপর ধূমপানের কথা বলে রাহাতকে আগবানিয়ারা আবু তালেবের বাড়ীর পশ্চিম পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। ধূমপান করার সময় সুযোগ বুঝে ব্লেড দিয়ে রাহাতের গলায় আঘাত করে। এসময় রাহাত চিৎকার দিলে বিপ্লব মুখ চেপে ধরে আরও কয়েকবার আঘাত করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাদামাটির মধ্যে মুখ চেপে ধরে।মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তার লাশ পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে রাহাতের মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে গিয়ে সে গোসল করে। তার রক্তমাখা জামা-কাপড় ধুয়ে ফেলে।
র্যাব আরও জানায়, শুক্রবার কালিহাতীর এলেঙ্গা থেকে অভিযুক্ত বিপ্লবকে আটক করে র্যাব। সে র্যাবের কাছে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তার ঘর থেকে তার জামা-কাপড় ও নিহত রাহাতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামতসহ বিপ্লবকে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।