টাঙ্গাইলে কৃষকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রানুয়ারা খাতুন ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান এর নেতৃত্বে, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিনটি দোকানদারকে ১৫০০০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তারা হলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বড় বৈন্যাফৈর,দাইন্য ১। মো: আতিকুল ইসলামকে ৫০০০, টাকা, ২। গপ্পের বাজার থেকে বাদশা মিয়াকে ৫০০০ টাকা, ৩। গপ্পের বাজার থেকে বাগিল আবু সাইদকে ৫০০০ হাজার টাকা নগত জরিমানা করে।
জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার খুচরা বিক্রেতারা কৃষকের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সরকারি নির্ধারিত দামে সার বিক্রি না করে তাদের চাহিদা মোতাবেক সার বিক্রির অভিযোগ উঠে। বিশেষ করে বাংলা ডিএপি সার অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী সরকার নির্ধারিত সারের দাম ইউরিয়া প্রতি কেজি ১৬ টাকা, ট্রিপুল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ২২ টাকা, ডাই অ্যামোনিয়া ফসফেট (ডিএপি) ১৬ টাকা, মিউরেট অব পটাশ (পটাশ) ১৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা।কিন্তু ডিলাররা ইউরিয়া বিক্রি করেন ১৮ টাকায়, বিএডিসির ডিএপি ২০ টাকায়, পটাশ ২২ টাকা ও বাংলা ডিএপি ১৬ টাকার পরিবর্তে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়।
সদর উপজেলার ধরেরবাড়িসহ বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজে গিয়ে দেখা যায়, সারের মূল্য তালিকায় ইউরিয়া ও ডিএপি ১৬ টাকা, পটাশ ১৫ টাকা নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ডিএপি ২০ টাকায়, ইউরিয়া ১৮ টাকায় ও পটাশ ২২ টাকায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রেতা কবির হোসেন বলেন, ‘সারের ঘাটতি থাকায় অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।’
কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, হারুনের দোকান বন্ধ থাকার কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তবে নজরদারিতে রয়েছে, বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এ অভিযান চলমান থাকবে।