“সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা,
দেশ মাতারই মুক্তিকামী, দেশের সে যে আশা”
একজন সফল মানুষের দৃষ্টির সীমানায় কারারুদ্ধ থাকে আবারিত সবুজ স্বর্নীল বিস্তৃত আবাদ। মানব সেবার পাশাপাশি সফলতার পূর্ন স্বাক্ষর রেখেছেন কৃষিকাজে জনাব মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দীন (এম এ)।
শ্যামল বাংলার অর্থনীতির প্রধান উৎস কৃষি। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা কৃষির সাথে সম্পৃক্ত। কৃষকদের সীমাহীন শ্রম আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে গড়ে উঠেছে এদেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ বাংলাদেশের কৃষি আর কৃষকদের কথা বাদ দিলে এদেশের অর্থনীতিকে অস্বীকার করা হয়। শুধু দেশীয় অর্থনীতিতেই কৃষকদের ভূমিকা সমাপ্ত নয়, জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতেও আছে কৃষকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা ব্রম্মপুত্রের তীরবর্তী এলাকা বিস্তৃত মাঠ পানে তাকালে কৃষিজাত পন্যের সামগ্রিক সমাহার। কৃষি কেন্দ্রীক হোসেনপুর উপজেলার গ্রামীন সমাজ। পল্লী গায়ের পরতে পরতে সুপ্রসন্ন সুখের দেখা মিলে যখন উচ্চতর সমাজ ব্যবস্তার ব্যক্তিরা স্বানন্দে একাকার হয়ে যায় মানুষের সাথে। কৃষি কাজে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে।
উপজেলার চরবিশ্বনাথপুর গ্রামের জনাব হেলাল উদ্দীনের পুত্র জনাব সিরাজ উদ্দীন যিনি ছোট বেলা থেকেই মানুষের দুঃখ-দূর্দশা লাঘবে নিঃস্বার্থ কাজ করে চলেছেন, সবসময় নিজেকে পরোপকারে নিয়োজিত রেখেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে নিজেকে তৈরি করেছেন, ছেলে বেলা থেকেই জড়িয়ে আছেন আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে।
জানা যায়, উপজেলার সিদলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন আপামর জনতার ভালোবাসার যায়গাটি থেকে।
আরো জানা যায়, জনাব সিরাজ উদ্দীন (এম এ) মানব সেবাই একাধিক বার জেলার সেরা চেয়ারম্যান পদক পেয়েছেন। মানুষের প্রতি যেমন তার নিবিড় ভালোবাসা, স্বদেশের মাটির প্রতিও রয়েছে অনবদ্য টান। তাইতো মানব সেবার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন রকম ফসল ফলিয়ে থাকেন। তার পাশাপাশি তিনি একজন সফল খামারিও বটে।
স্থানীয়রা জানায়, এতো উচ্চ শিক্ষিত, চেয়ারম্যান হয়েও তার মাঝে অহংকারের লেশমাত্র নেই, সবসময়ই হাসি খুঁশিতে সবার সাথে মিশে চলেন। খেটে খাওয়া মানুষদের অন্তরের গভীরে তার বসবাস।
মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দীন (এম এ) জানান, আলহামদুলিল্লাহ! আমি চেয়ারম্যান হিসেবে মানুষের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি বি এ ডি সি পাকুন্দিয়া আলুবীজ জোন থেকে চুক্তি ভিত্তিক চাষি হিসেবে প্রতি বছর আলুবীজ উৎপাদন করি। আলুর পাশাপাশি বাদাম, পাট এবং ভুট্টা, সবজি হিসেবে মুলা, ডাটা, মিষ্টি কুমড়া, লালশাক ও অন্যান্য সবজির চাষ করি, যা দিয়ে মোটামুটি আমার সংসার খরচসহ অন্যান্য খরচ চলে যায়। আর এ পেশাটা সম্মানজনক পেশা হিসেবে মনে করি। কারন কৃষক ও কৃষি আমাদের বাংলাদেশের উপার্জনের প্রধান হাতিয়ার। এবং একটি নিরেট পেশা হিসেবে এটাকে আমি সম্মান করি। এবছর আমি আমার নিজের উৎপাদিত বীজ দিয়ে আলু বীজ রোপণ করেছি এবং আশাকরি ফলন ভালো হবে। দোয়া চাই সকলের কাছে আমি যেন মানব সেবার পাশাপাশি কৃষি কাজকে মূল্যায়ন করে তার মাঝে নিজেকে ধরে রাখতে পারি।