টাঙ্গাইলে অটোমেটিক রাইস মিল বন্ধের জন্য এলাকা বাসীর গণস্বাক্ষর।
সরেজমিনে জানা যায়, আঠারদান বাদেপাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অতি নিকটে অটোমেটিক রাইস মিল স্থাপনের জন্য নব নির্বাচিত মেম্বার শাহ আলম ফকির বাদশা ও জমিদাতা মো: বেলায়েত হোসেনসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী পার্টনারশিপে তড়িঘড়ি করে একটি অটোমেটিক রাইস মিল স্থাপন করার জন্য নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় আবাসিক এলাকার সকল নারী-পুরুষ- ছাত্র-ছাত্রীরা একত্রিত হয়ে অটোমেটিক রাইস মিল বন্ধ করার জন্য গণস্বাক্ষর দেয়।
এ বিষয়ে আঠারদানা বাদেপাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: খোরশেদ আলম বলেন, গত ৬ অক্টোবর ২০২১ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত শব্দদূষণ, দুর্গন্ধ ও ছাইয়ের কারণে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হতেপারে বলে মন্তব্য করেন, তিনি আরো বলেন,টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরকে বিষয়টি লিখিত অভিযোগ দিয়ে জানানো হয়েছে। এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তবে মিলের পাশের বাড়ী মো: মহাসিন হাবিব বলেন, আবাসিক এলাকায় অটোমেটিক রাইস মিল হওয়ায় আমরা বিশাল বিপদে মধ্যে রয়েছি। দূষিত হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। এছাড়া রাইস মিল নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র আছে কিনা জানতে চাইলে, মালিক কর্তৃপক্ষরা তথ্য না দিয়ে, বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের, আশেপাশে থাকা জমির মালিকরা বলেন, আমাদের ফসল- আবাদ নষ্ট হলে এর দায়ভার কে নিবে। বারবার মিল মালিকের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছি তাতে কোনো লাভ হয়নি, আঠারদানা বাদেপাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মো: নাসিম বলেন, সরকারি বিধি-বিধান না মেনেই কিভাবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ইচ্ছেমত আবাসিক এলাকায় মিল ফ্যাক্টরি তৈরি কাজ চলমান রেখেছে, আমরা বাংলাদেশর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই আমাদের বিশ্বাস পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মহোদয় বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিবেন।
এ বিষয়ে অটোমেটিক রাইস মিলের মালিক মো: বেলায়েত হোসেন বলেন, আমরা নিয়ম মেনেই মিলের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। শব্দ দূষণ ও ছাই তো উড়বেই। বাতাস যেদিকে যাবে ছাই সেদিকে যাবে এসব বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই।
ঘাটাইল উপজেলার নির্বাহী অফিসার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, লাইসেন্স বিহীন কেউ প্রতিষ্ঠান করলে তাহা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।