জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয় ৩ হাজার ৬০০ হেক্টর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে অর্জিত হয়েছে ৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫০ হেক্টর বেশি আবাদ হয়েছে।
উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে সাতপোয়া, কামরাবাদ, আওনা ও পোগলদিঘায় সরিষার আবাদ করা হয়। অর্জিত সরিষার মধ্যে দেশী জাতের ১ হাজার ৫০০ হেক্টর ও উফসী জাতের ১ হাজার ২৫০ হেক্টর। অন্য ইউনিয়নগুলোর মহাদান ও ডোয়াইলে সরিষার আবাস বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চলতি মৌসুমে ওই দুটি ইউনিয়নে সামান্য পরিমান সরিষার আবাদ হলেও আগামীতে আরো বাড়বে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
এ লক্ষ্যে কৃষি প্রনোদনা কর্মসুচির আওতায় ওই দুটি ইউনিয়নের ৩৭০ জন কৃষককে প্রনোদনা দেওয়া হয়। মৌসুমের শুরুতে প্রত্যেক কৃষককে বিঘা প্রতি ১ কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি পটাশ বিতরন করা হয়। এরমধ্যে মহাদানে ১৯০ জন ও ডোয়াইলে ১৮০ জন কৃষককে এ প্রনোদনা দেওয়া হয়।
পোগলদিঘা ইউনিয়নের বিপুল মিয়া নামে এক কৃষক বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। আল্লাহতালা রহমতে আবহাওয়া পরিবেশ ভালো থাকায় আবাদের চাহিদা সম্পন্ন সরিষার ফলন হয়েছে। এখন এগুলো মাড়াই করে বাজার জাত করে সঠিক মুল্য পেলেই কৃষকের পরিশ্রম সার্থক হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। সরিষার আবাদ বাড়াতে মহাদান ও ডোয়াইল ইউনিয়নের ৩৭০ জন কৃষককে কৃষি প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।