সিমু ও সোহাগ বাহিনীর হামলায়- শিপন আহত। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বেলটিয়া গ্রামে।
বাদীপক্ষ জানায়, ২৬ ডিসেম্বর পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনেকে কেন্দ্র করে, ২নং ওয়ার্ডের দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থক শিপন ও সোহাগের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে গত ৮ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যার ৭টার পর সিমু, সোহাগ, টিপুর বাহিনীর একদল সন্ত্রাসীরা শিপনকে রাস্তায় পেয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
রক্তাক্ত অবস্থায় শিপনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে থেকে তার হাতের রগ কাটা পরেছে বলে জানায়। টাঙ্গাইল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
এই রিপোর্ট লেখা অবস্থায় জানা যায় যে, অপারেশন করতে ৮ ঘন্টা সময় লেগেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে শিপনকে।
ঐ এলাকার বাঁশি জানা, ঘটনার মূল হোতা, সেলিম খানের মেয়ে শিমু খুবই বেপরোয়া এবং উৎশৃংখল। সিমু মেয়েটি এতটাই বেপরোয়া যে, পুরুষ কেউও হারমানাবে তার বেপরোয়া গতি এতই বেশি। যখন ঘটনাটি ঘটায় তখন কমরে ওড়না বেঁধে একদল ইয়াং ছেলের সঙ্গে নিয়ে, শিপনকে ধাওয়া করে, এসময় শিপন বাঁচার তাগিদে দৌড়াতে থাকে তাতেও রক্ষা পায়নি শিপন নির্মম ঘটনার শিকার হতে হয়েছে।
এলাকার লোক আরো জানায়, সে এমনভাবে উশৃংখল এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে ছিল, তখন শিমুর হাতে ছিল দা, বলতেছিল “যে কে আসবি আয় আজকে সব শেষ করে রেখে যাব।” তারপরে শিপনকে দেখতে পেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে রাস্তায় ফেলে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়।
এলাকার লোকজন জানায়, আমরা মনে করেছিলাম শিপনকে শুধু ভয় দেখিয়ে রেখে গেছে, পরবর্তীতে দেখতে পায় শিপন রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে। এলাকার এবং পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে থাকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
পরাজিত ইউপি সদস্য শাহজাদা শাহ্ শফি বলেন, বেলটিয়া গ্রামের মো: সেলিম বিডিআর (অব:) এর মেয়ে শিমু ও তার ছেলে সোহাগ, আক্তারুজ্জামানের ছেলে টিপুর, পরিকল্পিত ভাবেই আঘাত করেছে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
এই ঘটনার বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মজিদ বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় সরেজমিন তদন্ত করেছি, এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি তবে মামলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছ।