জাতীয়

মুরাদের বিরুদ্ধে জিডিতে কী লিখেছেন স্ত্রী?

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন স্ত্রী ডা: জাহানারা এহসান। স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চান ডা: জাহানারা। এরপর বিষয়টি জানানো হয় ধানমন্ডি থানা পুলিশকে। এরপরই পুলিশের একটি টিম মুরাদের বাসায় যায়। পরে পুলিশের সঙ্গে তিনি থানায় এসে জিডি করেন।

মুরাদের স্ত্রী জিডিতে উল্লেখ করেন, ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের ফারিহা রাজকন্যা (১৬) এবং হাসান আবরার মাহির যুবরাজ (১১) নামে দুই সন্তান রয়েছে। তার স্বামী ডা: মুরাদ হাসান বর্তমান সরকারের সংসদ সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী। সম্প্রতি কারণে অকারণে ডা: মুরাদ তাকে ও তার সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করছে। পাশাপাশি হত্যার হুমকিও দিচ্ছে তার স্বামী।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে ডা: মুরাদ আবারও তাদেরকে গালিগালাজ করে এবং মারধর করার চেষ্টা করে। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে ধানমন্ডি থানার পুলিশ বাসায় পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান তার স্বামী।

ডা: জাহানারা জানান, সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। তার স্বামী যে কোনো মুহূর্তে তাকেসহ তার সন্তানদের ক্ষতি করে ফেলতে পারে।

ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের ১৫ নম্বর সড়কের বাসায় পুলিশ পাঠানো হয়। স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ আনেন তিনি।

প্রসঙ্গত, নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ডা: মুরাদ হাসান প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে গত ৭ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন। এরপর ৯ ডিসেম্বর রাতে কানাডার উদ্দেশে তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্টে ঢাকা ত্যাগ করেন।

কিন্তু কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি সিবিএস কর্মকর্তারা প্রায় ৩ ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় মুরাদ হাসান কানাডায় ডায়াবেটিকসসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এসেছেন বলে জানান।

তবে তার উত্তর সিবিএস কর্মকর্তাদের কাছে অবান্তর ঠেকলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে দেশের উদ্দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এমনকি তিনি যাতে ভবিষ্যতে কানাডায় প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য তার আঙ্গুল ও হাতের ছাপ, ছবি এবং স্বাক্ষর সংগ্রহ করে রাখে ইমিগ্রেসন কর্তৃপক্ষ।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker