টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) প্রকাশ্যে নৌকায় সিল ও দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর বর্জনের মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। প্রায় অর্ধশত কেন্দ্র পরিদর্শন করে, পুরুষের তুলনায় মহিলা ভোটারের উপস্থিতি বেশি লক্ষ করা গেছে।
ভূঞাপুরের নিকরাইল ইউনিয়নের ভোটারদের প্রকাশ্যে সিল মারতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী আব্দুল মতিন সরকারের পোলিং এজেন্টদের বিরুদ্ধে। এছাড়া ভূঞাপুর উপজলার ৬টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণকালে অভিন্ন চিত্র দেখা যায়।
অনিয়মের অভিযোগ এনে গোবিন্দাসী ইউনিয়নে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। প্রায় একই সময়, একই অভিযোগে ঘাটাইলের দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের সতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলামও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
ভূঞাপুরের ফলদা ইউনিয়নের ফলদা কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই যুবককে ভোট কেন্দ্রের দোতলায় নেওয়া হলে তিনি লাফিয়ে নিচে পড়ে আহত হন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তেজিত জনতা নির্বাচনে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঘেরাও করে ফেলে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে স্থানীয়দের সংঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়। এদিকে, সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নেও দুজনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলার ২১ ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে-ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা, ঘাটাইল, দিগড়, দিগড়কান্দি, দেউলাবাড়ী, দেওপাড়া, লোকেরপাড়া, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া, গালা, ঘারিন্দা, দাইন্যা, পোড়াবাড়ি, বাঘিল, মগড়া, হুগড়া ও ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা, অলোয়া, গাবসারা, গোবিন্দাসী, নিকরাইল এবং ফলদা ইউনিয়ন।
