অনলাইন ডেস্ক:
মগবাজারের একটি প্রতিষ্ঠানে দুই বছর ধরে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করছেন ইমরান হোসেন। পরিবার মগবাজারে থাকলেও তিন বছর আগে বিয়ে করে তিনি থাকেন শান্তিনগরে। প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালে কাজে আসেন ইমরান। তখন, পুরো পরিবার শান্তিনগরের বাসাতেই ছিল। সন্ধ্যায় পরিবারের সবাই এখন ঢামেক বার্ন ইউনিটে।
মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়ে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ইমরান। তাকে খুঁজতে এসেছে স্ত্রী তামান্না, বোন আইরিন ও মা।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল বলেন, ইমরানের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা অনেক বেশি আশঙ্কাজনক।
আইরিন বলেন, ‘ভাইয়াকে চিনতে খুব কষ্ট হয়েছে। এভাবে আজ ভাইয়াকে দেখতে হবে ভাবিনি। ভাইয়ের পুরো শরীর রক্তাক্ত ও পোড়া।’
শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে ইমরানের মত আশঙ্কাজনক আহতরা হলেন- রাসেল (২৪), জাকির হোসেন (৪০), নয়ন (৩২), মোতালেব (৪০), আবুল কালাম (৩৫), পইমল হোসেন (৪০), মোস্তাফিজ (৪৫), নবী (২৮), আজাদ (৩৫)। এ ছাড়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৩৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন রায়হানুল গাফফার নয়ন জানান, ঘটনার সময় তিনি যাত্রীবাহী বাসে ছিলেন। হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণের বাসের কাচ ভেঙে তিনি আহত হন।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পাথর শংকর পাল জানান, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন ব্যক্তি মারা গেছেন। ভর্তি হওয়া আরো নয়জনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের শরীর পোড়া ছাড়াও জখমের চিহ্ন রয়েছে।