অবশেষে ১৬ বছর পর র্যাবের জালে ধরা পড়লো রবিউল্লাহ হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী কামাল মিয়া (৬০)। বৃহষ্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোরে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার রসূলপুর এলাকা হতে তাকে র্যাব-১৪ (সিপিসি-৩) গ্রেফতার করেন। কামাল মিয়া বাজিতপুর উপজেলার মাইজচর এলাকার মৃত ছলিম উদ্দিনের পুত্র।
র্যাব জানায়, বাজিতপুর উপজেলার মাইজচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীতা নিয়ে কামাল মিয়া ও রবিউল্লাহ এর মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। রবিউল্লাহ ২০০৫ সালের ২৫শে এপ্রিল কিশোরগঞ্জ আদালতে হাজিরা দিতে যাবে সংবাদ পেয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কামাল মিয়া দলবল নিয়ে বাজিতপুর পশু হাসপাতালের কাছে অবস্থান করে। রবিউল্লাহ পশু হাসপাতালের কাছে পৌঁছালে কামাল মিয়া তার দলবল নিয়ে চাপাতি, রড, ক্রিকেট খেলার ব্যাট ইত্যাদি অস্ত্রাদি দিয়া মারাত্মক জখম করে। রবিউল্লাহকে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ৫ই মে চিকিৎসারত অবস্থায় রবিউল্লাহ মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় রবিউল্লাহর স্ত্রী বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলো। র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ ভৈরব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে রসূলপুর এলাকায় কামাল আত্মগোপনে আছে। সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব-১৪ সিপিসি-৩ কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীকে সাজা ওয়ারেন্ট মূলে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে।