ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তারের মুখে আছেন তিন জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী তাহসান, মিথিলা এবং শবনম ফারিয়া। পুলিশের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, তাদের যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এই ইভ্যালির প্রতারণার শিকার হয়েছেন দেশের অসংখ্য মানুষ। প্রতিষ্ঠানটির হর্তাকর্তারা এখন জেলে। তিন অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলার পর দাবি উঠেছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিরুদ্ধে মামলা কেন হবে না? ইভ্যালির সবচেয়ে বড় প্রচার তো বিসিবির মাধ্যমেই হয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) স্পনসর ছিল ইভ্যালি। এজন্য বিসিবিকে তারা ২ কোটি টাকা দিয়েছিল। তার আগে থেকেই অবশ্য ইভ্যালির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলছিলেন গ্রাহকরা। কিন্তু দেশের ক্রিকেটের স্পনসর হওয়ায় ইভ্যালির ওপর কিছু মানুষ আস্থা রাখে এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়। যে কারণে ইভ্যালির প্রতারণাকে প্রতিষ্ঠিত করার অভিযোগ উঠতেই পারে বিসিবির বিরুদ্ধে।
খ্যাতিমান কথাশিল্পী ও সাংবাদিক আনিসুল হক তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ইভ্যালির নাম ও লোগোযুক্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সির ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ শুধু তাহসান মিথিলা কেন? বড় ভাইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা দরকার ছিল না!’ শুধু আনিসুল হক নন, বিভিন্ন অঙ্গনের আরও অনেকে বিসিবির বিরুদ্ধে মামলার দাবি করেছেন। সাংবাদিক মাহতাব হোসেন লিখেছেন, ‘ ইভ্যালির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন হয়েছে এদেশের ক্রিকেটের দ্বারা..।’
নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘তাহসান, মিথিলা, শবনম ফারিয়ার বিরুদ্ধে যদি ইভ্যালি ইস্যুতে প্রতারণার মামলা হয়ে থাকে তাহলে প্রশাসন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন কেন নিচ্ছে না? টিম জার্সিতে তো বাংলাদেশ লেখা থেকেও ইভ্যালি লেখা বড় আকারে থাকতো। নিচে তার কিছু নমুনা দেয়া হলো। ক্রিকেট বোর্ডের সময় সবাই চুপ। উল্টো দিকে শিল্পীদের নরম পেয়ে সব অ্যাকশন শুধুই তাদের উপর কেন হবে?’ আরেক নির্মাতা ইমারুল রাফাতও একই লেখা শেয়ার করেছেন। সোশ্যাল সাইটে এভাবেই দাবি উঠেছে, বিসিবিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার।