কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সাহেবের চর একটি জনবহুল গ্রাম। গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করতে আসন্ন ২৬ তারিখ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য(মেম্বার) পদে প্রার্থীতা করছেন “কামরুজ্জামান কাঞ্চন” মোরগ প্রতীকে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়।
জানা যায়, সাহেবের চর গ্রামের প্রথম পুরুষ হযরত সুলু শাহ (র:) একজন বিশিষ্ট আল্লাহর অলি,,যার মাজার শরিফ গ্রামের মধ্যমনি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
এই গ্রামে জন্ম নিয়েছে বহু সোনার ছেলেরা যারা ১৯৭১ সালে জীবন বাজী রেখে এ দেশকে হানাদার মুক্ত করতে যুদ্ধ করেছিল। আবার এই গ্রামের বহু সোনার মানুষজন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সরকারি কর্মকর্তা হয়ে রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণ করেছে, এ গ্রামে আছে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত পবিত্র কোরআনের হাফেজ, মাওলানা, শিক্ষক-শিক্ষিকা,
অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদে বেষ্টিত সাহেবের চর গ্রামে যেমন সুখের অভাব নেই তেমনি আছে বুক ফাঁটা বোবা কান্না, হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমি, অসংখ্য বসত-বাড়ী নদের গর্ভে বিলিন হয়েছে। রাস্তা ঘাটের রয়েছে অভাব, শিক্ষা ব্যবস্তায় নেই তেমন প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন।
সুশীল সমাজের লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আসন্নবর্তী নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী “কাঞ্চনের মোরগ প্রতীকে” ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলে তাকে দিয়ে সকল সমস্যার নিরসন করা সম্ভব হবে বলে দাবী করেন সুশীল সমাজ।
ছাত্র -ছাত্রীরা বলেন,কাঞ্চন ভাই পাশ করলে যেকোন পরিবেশে আমরা বুক টান করে পরিচয় দিতে পারবো। কারন তিনি সবদিক থেকে উপযুক্ত। তাই আসন্ন নির্বাচনে আমাদের অংশগ্রহণ থাকবে মোরগ প্রতীকের পক্ষে।
এলাকার সোনার কৃষিজীবী সরল মানুষ অনেকের সাথে কথা বলে জানতে পারি, সবাই ঐক্যমতে কাঞ্চনের মোরগ প্রতীকে ভোট দিবে।কারণ তাদের আশার বাতিঘর হিসেবে অসহায় মানুষের পাশে তাকেই পাওয়া যাবে বলেও উল্লেখ করেন। কারণ তিনি ছোট কাল থেকেই মানব সেবার সাথে জড়িত।
কেউ কেউ বলেন- “সকাল দেখলেই বুঝা যায় সারাদিন কেমন যাবে,”তেমন কাঞ্চন ভাই কে প্রার্থী পেয়েই বুঝতে পারছি তিনি আমাদের পাশে থাকবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জৈনেক দৈনিক শ্রমিক(খেটেঁ খাওয়া মানুষ) বলেন, আমরা কাঞ্চনের মোরগ প্রতীকে ভোট দিয়ে পাশ করাবো কারন তিনি সরকারি বিভিন্ন ত্রান সামগ্রী সঠিক ব্যক্তি খুঁজে খুঁজে, উপযুক্ত অসহায়কেই দিবেন। তেলা মাথায় তেল দিবেন না।
প্রভাসী সবুজ, সুলতান, মানিক, রফিক, মিসবাহ আহমেদ মেনু জানান, সাহেবের চরকে আদর্শ গ্রামে রুপান্তরিত করতে কাঞ্চন ই একমাত্র কান্ডারী বিপুল ভোটে কাঞ্চন জয়লাভ করবে।
গ্রামের কৃতিসন্তান পুলিশ বিভাগে কর্মরত পিবিআই কর্মকর্তা কুতুব আহমেদ চন্দন ও অবসরপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর জহুরুল ইসলাম জজ মিয়া জানান, “একটা মেম্বার মানে হল একটা নৌকার মাঝি,মাঝি যেমন নৌকাতে স্রোতের অনুকূল বা প্রতিকূলে নিতে পারে, তেমনি একটা মেম্বার ইচ্ছা করলে গ্রামকে আদর্শ বা অনাদর্শ বানাতে পারে, কাঞ্চন ছেলে হিসেবে বিশ্বস্ত তাই জনগন এবার তার কাছেই গ্রামের ভালো মন্দের দ্বায়িত্ব দিবে “
কফিল উদ্দীন (সাবেক হাবিজ উদ্দীন মেম্বারের পুত্র) মানিক মিয়া(আওয়ামিলীগ নেতা) সূতি মিয়া(সমাজ সেবক), আমিন মিয়া(সমাজ সেবক), বিএনপি উপজেলা পর্যায়ের নেতা ফরিদ আহমেদ, আবু সাহিদ(সাবেক মেম্বার), রুহুল আমিন(সাবেক মেম্বার), মোস্তফা আহমেদ(অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ), নজরুল ইসলাম(ম্যানেজার সূর্যের হাসি ক্লিনিক), ও নুরুল ইসলাম ফকির(স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি) প্রমুখ ব্যক্তিদের আলোচনায় ফুটে উঠে অতীতে নিজ বংশে বিচ্ছিন্ন কিছু মনোভাব থাকলেও বর্তমানে সবাই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কায়ামানো বাক্যে ঐক্যমত প্রকাশ করেছে। এবং কাঞ্চনের মোরগ মার্কার ভোটের জন্য ভোটারের দ্বারেদ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নিজ বংশীয় সকল মানুষসহ।
উল্লেখ্য গত ৭ তারিখে নিজ বংশের অসংখ্য লোক অত্যন্ত উৎসব আমেজে নেচে গেয়ে সাহেবের চর থেকে হোসেনপুরে আসেন,বরাদ্দকৃত প্রতীক নেওয়ার জন্য।একটা মেম্বার পদপ্রার্থীর নিজ বংশের এতো লোক দেখে মানুষ অভাগ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
সাংবাদিক মাহফুজ রাজা সাহেবের চর গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, “একটা নির্বাচনে প্রার্থীতা করার জন্য, একজন প্রার্থীর যতটুকু গুন বা যোগ্যতা থাকা লাগে আমি মনে করি, আমার ভাই কামরুজ্জামান কাঞ্চন ভাইয়ের মাঝে আছে, আমার প্রিয় ওয়ার্ডবাসী নিশ্চয় অবগত আছেন।”
তিনি আরো বলেন, “কাঞ্চন ভাই অসংখ্য ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।”
লক্ষনীয় বিষয়, আল্লাহ না করুক ভাই যদি নির্বাচনে হেরে যায়,তাহলে লজ্জিত হবে, এই লজ্জা শুধু কাঞ্চন ভায়ের নয়, ২ নং ওয়ার্ড সকলের। কারন কাঞ্চন ভাই হেরে গেলে, যারা মানবতার মন নিয়ে সুশিক্ষা গ্রহন করে নির্বাচনে আসে হয়ত তারা সাহস হারাবে নিজের যোগ্যতার প্রতি ঘৃনা ধরে যাবে। তাই সকলের সহযোগিতা, দোয়া ও ভোট চাই মোরগ মার্কার জন্য। সাহেবের চরকে উন্নয়নের দিকে গতিশীল করার জন্য।
প্রার্থী কামরুজ্জামান কাঞ্চন আমাদের বলেন, “ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি আমার প্রিয় গ্রামবাসী বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত, আমাকে সবাই প্রার্থী করেছে, আমার উপর তাদের(গ্রামবাসীর) অনেক কিছু চাওয়া-পাওয়া আছে, আমি আল্লাহর রহমতে সকলের সার্বিক সহযোগিতায়,দোয়া ও ভোটে বিজয়ী হলে সবার সাথে মিশে থেকে সমস্যাগুলি আলোচনা সাপেক্ষে তদনুযায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেব।প্রিয় ভোটারগনের কাছে আমার দাবী, ভোট বিচারের বস্তু, আমি যদি বিবেগের আদালতে যোগ্য হয়, তাহলে আমাকে একটা করে ভোট দিবেন সকলে ”
পরিশেষে, কামরুজ্জামান কাঞ্চন তার নির্বাচনী এলাকা ২ নং ওয়ার্ড সাহেবের চরের সর্বস্তরের গনমানুষের সচেতনতা, সুস্বাস্থ ও মঙ্গল কামনা করেন।