নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণায় নামার কথা থাকলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেশিরভাগ প্রার্থীই সেটা মানছেন না। প্রতীক বরাদ্দের আগেই নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে হাজার লোকের উপস্থিতিতে সমাবেশ ও খাওয়ার আয়োজন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এখন ব্যবস্থা নেওয়ার সময় না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো: মনির হোসেন শনিবার রাতে নির্বাচনী সমাবেশ করেছেন। ওই সমাবেশে হাজার খানেক লোকজনের উপস্থিতি ছিলো। শুধু মনির হোসেন না, উপজেলার বেশিরভাগ চেয়ারম্যান প্রার্থীই প্রতীক বরাদ্দের আগেই ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বড় বড় সভা-সমাবেশের পাশাপাশি খাবারের আয়োজনও করা হচ্ছে এসব আয়োজনে। চলছে মোটর সাইকেল মহড়া ও মিছিল। প্রার্থীরা ইতিমধ্যে দলবেধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে শুরু করেছেন।
এ অবস্থায় কোন ভূমিকা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। অনেক প্রার্থী এসব বিষয়ে অভিযোগ করলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছেন। মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের রিটানিং অফিসার জানান, নিয়ম অনুসারে প্রতীক বরাদ্দের আগে কেউ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। একটি সমাবেশের বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে প্রার্থীকে ফোন দিলে বলেন ওইটা ছিলো পারিবারিক আয়োজন।
এদিকে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মিজানুর রহমান নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বলেন, ‘ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন ও আচরণবিধি বিষয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বিভিন্ন এলাকা ঘুরছি। চেষ্টা করছি যেন একটি সুন্দর নির্বাচন হয়।’
আগামী ২৬ ডিসেম্বর আখাউড়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে আখাউড়াতে চেয়ারম্যান পদে কাউকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলে নির্বাচনে ভিন্ন আমেজ বিরাজ করছে।
আখাউড়ার পাঁচ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৬ জন, সাধারন সদস্য পদে ১৯০ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এর মধ্যে ধরখারে সবচেয়ে বেশি ১৬ জন ও দক্ষিণে সবচেয়ে কম মাত্র তিনজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। মনিয়ন্দের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে যুব লীগের প্রয়াত নেতা বাদল দাসের স্ত্রী শিখা রানী দাস সংরক্ষিত সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।