কুমিল্লার কাউন্সিলর সৈয়দ মো: সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার চাঁনপুর গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জেলা ডিবির এলআইসি টিমের প্রধান উপপরিদর্শক পরিমল দাস দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জেলা পুলিশের অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নিহত শাহ আলম (২৮) সুজানগর বৌ বাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা তাকে শনাক্ত করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে গোপন সংবাদে পুলিশ জানতে পারে যে কয়েকজন অস্ত্রধারী দুষ্কৃতিকারী চাঁনপুরে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধে অবস্থান করছে।’
‘অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার করতে থানা ও ডিবি পুলিশের একাধিক দল অভিযান শুরু করে। আনুমানিক ভোররাত সোয়া ১টার সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।’
‘সেসময় ডিবি ও থানা পুলিশের সদস্যরা নিজেদের নিরাপত্তায় পাল্টা গুলি করে। উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী পালিয়ে যায়। গোলাগুলি শেষে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ ও হাতে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ পাওয়া যায়।’
‘উপস্থিত স্থানীয় লোকজন তাকে শাহ আলম বলে শনাক্ত করে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন,’ যোগ করেন উপপরিদর্শক পরিমল দাস।
এ ঘটনায় পুলিশের ২ সদস্য আহত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি জানান তাদেরকে চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি ৭.৬৫ পিস্তল, গুলি ও কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়। সরকারি কাজে বাধা ও আক্রমণ, হত্যা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্তে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.