সরিষাবাড়ী

প্রেমের টানে মেক্সিকো’র তরুণী বাংলাদেশে

ভাষা-সংস্কৃতি, ধর্ম-বর্ণসহ নানা সংস্কারের ভেদাভেদ ভুলে শুধু প্রেমের টানে মেক্সিকো দেশ থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন ‘গ্লাডির্স নাইলী ট্রোরেবিয়ো মোরালিয়ার্স’ (৩২) নামে এক তরুণী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের পরিচয়ে হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে উড়ে এসেছেন বাংলাদেশের জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চর পোগলদিঘা গ্রামে রবিউল হাসান রোমনের (২৮) কাছে। ভালোবাসার টানে ঘর ছাড়ার ঘটনা সমাজে অহরহ দেখা গেলেও দেশ ছাড়ার ঘটনা এই আধুনিক যুগেও কিছুটা বিরল। গত রোববার (২১ নভেম্বর) সকালে মেক্সিকো থেকে বাংলাদেশের শাহ-জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন এই তরুণী। পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে কোর্ট ম্যারেজ করে তাদের বিয়ে হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চর পোগলদিঘা (৭নং ওয়ার্ড) গ্রামের হাজী মো: নজরুল ইসলামের মেজো ছেলে রবিউল ইসলাম রোমেন সাথে ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে পরিচয় হয় মেক্সিকো’র তরুণী নাইলীর। তার পর থেকেই আড়াই বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তাদের। সেই সম্পর্কের জের ধরে গত রোববার বাংলাদেশে আসেন এই তরুণী। জাতি হিসেবে একজন খ্রিস্টান পরিবাবরে জন্ম তার। মেক্সিকো ইউনির্ভাসিটি থেকে (সাইনোকোলজি) বিষয়ের উপর পড়াশুনা শেষ করে বর্তমানে ফুড ব্যবসায়ী হিসেবে বিজনেস করেন। তার পিতা একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। সব কিছু উপেক্ষা করে চলে আসেন বাংলাদেশে। পরে ইসলামের শরীয়ত মোতাবেক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ঢাকা জর্জকোর্টের মাধ্যমে তাদের ধর্মীয় রীতিনীতিতে ১লক্ষ টাকার কাবিন করে বিবাহ সম্পন্ন করে পারিবারিক ভাবে গ্রহণ করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

হাজী নজরুল ইসলাম বলেন, এই সম্পর্কের কথা আমার ছেলে আমাদের জানানোর পরে আমরা পরিবাবারের সকলেই মিলে বিমানবন্দরে গিয়ে মেয়েটিকে গ্রহণ করি। পরে জর্জকোটের মাধ্যমে বিবাহ সম্পুর্ন করে ছেলে এবং ছেলের বউকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

তরুণী গ্লাডির্স নাইলী ট্রোরেবিয়ো মোরালিয়ার্স ও রবিউল হাসান রোমন বলেন, ফেইসবুকে পরিচয়ের বন্ধুতের মাধ্যমেই দুজন দু’জনের সম্পর্ক। আড়াই বছর যাবত আমাদের সম্পর্ক। ইতিমধ্যে আমি বাংলাদেশ থেকে মেক্সিকো যাওয়া জন্য অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু যেতে পারিনি। অবশেষে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ শেষে টুরিস্ট-ভিসায় আমাকে বিয়ে করার জন্য সে বাংলাদেশে এসেছেন। পরবর্তীতে বিয়ের সব কাজপত্র নিয়ে মেক্সিকোতে গিয়ে আমাকে ঐ দেশে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ ঘটনায় পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান সামস্ উদ্দিন জানান, মেক্সিকো থেকে এক তরুণী বাংলাদেশের চর পোগলদিঘা এলাকায় এসেছে। তারা জর্জকোটের মাধ্যমে ইসলামের শরীয়ত মোতাবেক কোর্ট-ম্যারেজ করে গ্রামের বাড়িতে ছেলের পরিবারের কাছে এসেছে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker