কিশোরগঞ্জের সদরের বিন্নাটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাহারুল ইসলাম বাবুলের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের দনাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের শফিকুল ইসলামের পক্ষে পোস্টার ও অফিস স্থাপনের জন্য স্থানীয় বিএনপির মহিলা দল নেত্রী রুমা আক্তারসহ বেশ কয়েকজন দনাইল গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে যান। সেখানে এসব বিষয় নিয়ে স্থানীয় হোটেল মালিক বুলবুল মিয়ার সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
এক পর্যায়ে তারা আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাহারুল ইসলাম বাবুলের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা অফিসের চেয়ার ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে মাটিতে ফেলে দেয়।
এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাহারুল ইসলাম বাবুলের ছেলে রিয়াদসহ কয়েকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও কিলঘুষি মেরে আহত করে তারা। পরে এ খবর পেয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুলের লোকজন ঘটনাস্থলের দিকে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
হোটেল মালিক বুলবুল মিয়া বলেন, ‘পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলাকারীরা আমার কাছে আসে। কথা বলার এক পর্যায়ে তারা আমাকে মারধর করে। পরে তারা পাশে বাবুল চেয়ারম্যানের নৌকার অফিসে হামলা চালিয়ে চেয়ার ভাঙচুর ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে।
এ প্রসঙ্গে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের শফিকুল ইসলাম জানান, রুমা আক্তার আমার কর্মী এবং বাবুল চেয়ারম্যানের কাছে রুমার টাকা পাওনা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। টাকার বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে তার লোকজন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেনি বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাহারুল ইসলাম বাবুলের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আবুবকর সিদ্দিক জানান, অফিস ভাঙচুরের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।