সুর্বনা আক্তার (১৬) এর নামে চুরির অপবাদ সইতে না পেরে গলায় রশি বেঁধে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। সে উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহেদল গ্রামের হাজী আকবর হোসেনের মেয়ে ও গলাচিপা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রনীর ছাত্রী ছিল। আত্মহত্যার আগে তার স্কুলের খাতায় ৮ পৃষ্টার চিরকুটে অপমানের বিবরণ লিখে চুরির অপরাধ অস্বীকার করে এবং এ রকম ঘটনা যেন আর কারো জীবনে না ঘটে তার বিচার চেয়ে বলেন, এ ঘটার বিচার না হলে তার আত্মা শান্তি পাবে না বলেও বর্ণনা করেন।ঘটনাটি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় এ রকম ঘটনার সৃষ্টি হলে পুলিশ আত্মহত্যার প্ররোচনার আলামত হিসেবে ৮পৃষ্টা লিখা খাতা ও মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা ভিডিও জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় ও লাশ উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের মা হালিমা খাতুন জানায়, তাদের বাড়ির পাশে শিশু শিখন বিদ্যালয়ের খসরু মিয়ার ছেলের নাতির স্বর্ণের চেইন ছিনতাই হয় অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ (মঙ্গলবার)। সে দিন ওই মেয়ে তার মেয়ে সুর্বনা আক্তারকে সন্দেহ করে ওই বিদ্যালয়ের (শিশু শিখন) বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুন্নাহারকে নিয়ে তাদের বাড়িতে আসলে তার মেয়েকে দেখানো হয়; তখন তার বর্ণনা অনুযায়ী নিশ্চিত হওয়া যায় যে সুর্বনা চেইন চুরির সাথে জড়িত না।
তথাপি সুর্বনার বাবা হাজী আকবর হোসেনকে স্থানীয় আশুতিয়া বাজারে গেলে সেখানে খসরু, লোকমান ও আব্দুল হামিদ গং মারধোর করেই শুধু খান্ত হননি; বরং তাদের বাড়িতে এসে রাতে ২৫/৩০ জনকে নিয়ে হামলা চালায়। এছাড়াও সুর্বনা স্কুলে যাওয়া-আসার পথে বখাটে মুন্না গং তার মেয়েকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল কথা বলে উত্যক্ত করে আসছিল। এ নিয়ে স্থানীয় মাধবরদের নিয়ে দেন দরবার করা হলে খসরু মিয়া ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপুরণ দাবি করে। এসব ঘটনা সইতে না পেরে অবশেষে তার মেয়ে লোক-লজ্জায় আত্মহত্যা করে; এ ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।