কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ৬নং দেহুন্দা ইউনিয়ন, ৪নং ওয়ার্ডে চরদেহুন্দা কবিরাজ আবু তাহেরের বাড়ির পাশে নবমুসলিম আব্দুল্লাহ (৫০) এর স্ত্রী মোছা: স্বপ্না আক্তার (৪৫) ও পরকীয়া প্রেমিক দু’জনে মিলে মোছা: মায়শা আক্তার (১৮) কে নিজ হাতে গলায় চেপে হত্যা করেন।
সূত্র মতে জানা যায়, স্বপ্না আক্তার তার খালাতো ভাইয়ের সাথে পরকীয়ায় মজে থাকার কথা তার দ্বিতীয় মেয়ে মায়শা আক্তার জেনে গেলে মাইশা তার মাকে ইসলামী জ্ঞান দ্বারা অনেক ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত বুঝাতে ব্যর্থ হলে, মাইশা তার বাবার কাছে সব কিছু বলে দেবার কথা বলে। এতে তার মা স্বপ্না ও পরকীয়া প্রেমিক দু’জনে মিলে মাইশাকে গলা চেপে হত্যা করে। মেয়ে মাইশার নখের চিহ্ন তার মা স্বপ্নার গালে পাওয়া যায়।
হত্যা করার আগে গতকাল বুধবার বিকালে পরকীয়া প্রেমিক মাইশাকে তার মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে মোটরসাইকেলে নিয়ে আসেন। মায়শা কওমী মহিলা মাদ্রাসার মেশকাতের ছাত্রী ছিলেন।
স্বপ্না আক্তার পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন, তার মেয়েকে নিজ হাতে গলা চেপে হত্যা করেছেন। ময়না তদন্তের জন্য লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সন্তানের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হলো মায়ের কোল, আর এই সেখানে যদি হয় মৃত্যুর ভয়ানক স্থান তা হলে সন্তানের অবস্থা কেমন হবে?
স্বপ্না আক্তারের দু’মেয়ে, এক ছেলে। প্রথম মেয়ে মোছা: ভাবলী আক্তার (২২), দ্বিতীয় মেয়ে মায়শা আক্তার (১৮), তৃতীয় ছেলে মো: মেরাজ (১৫), স্বপ্না আক্তার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে আর পরকীয়া প্রেমিক সকালে পালিয়ে গেছে।
এলাকাবাসী বলেন, এটা পূর্বপরিকল্পিত হত্যা কান্ড, এর সুষ্ঠ বিচার চাই। পরকীয়া প্রেমিকরে প্রায়ই ওনার বাড়িতে আনাগুনা ছিলো রাতে আসতো আবার সকালে ওঠে মোটরসাইকেলে চলে যেতো।
করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামছুল আলম সিদ্দিকী জানান, নিহতের বাবা ঢাকা থেকে আসার পর মামলা রুজু করা হবে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।
এ ঘটনায় স্বপ্নাকে আটক করা হলেও তার পরকিয়া প্রেমিক রয়েছে পলাতক।