হর হামেশাই হিজড়াদের লাঞ্ছনার স্বীকার হচ্ছে – যাতায়াত, অনন্যা ও শ্যামল ছায়াসহ আরো বহু বাসের যাত্রীরা, কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব এ মহাসড়কে।
বাংলাদেশে নারী-পুরুষ লিঙ্গীয় পরিচয়ের পাশাপাশি আরেক লিঙ্গীয় পরিচয়ের মানুষের বসবাস রয়েছে, যাদের তৃতীয় লিঙ্গ, ট্রান্সজেন্ডার বা হিজড়া সম্বোধন করা হয়। কিন্তু এই লিঙ্গের মানুষদের কী সম্বোধন করা উচিত তা নিয়ে মতদ্বৈধতা রয়েছে। তবে এখানে তাদের ‘হিজড়া সম্প্রদায়’ বলেই সম্বোধন করা হলো। কারণ, তারা কথোপকথনে নিজেদের হিজড়া বলেই পরিচয় দিয়ে থাকে।
হিজড়াদের টাকা তোলা নতুন কিছু নয়। আগে মানুষ যা দিত, তা নিয়েই খুশি থাকত হিজড়ারা। কিন্তু ইদানীং তাদের আচরণ বদলে গেছে। রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, দোকানপাট যেখানে-সেখানে টাকার জন্য মানুষকে নাজেহাল করছে তারা। যাদের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিনা পরিশ্রমে অর্থ উপার্জন করা।
বাস স্টপে বাস থামার পর হিজড়ারা বাসে উঠে গেলে যাত্রীদের কিছু করার থাকে না। তাদের সঙ্গে তর্ক করলে যাত্রীদের আরও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়।
কিশোরগঞ্জের নতুন জেলখানা মোড় যাতায়াত বাস থামাতেই আজ সোমবার মিশন ৯০ এর চোখে পড়ে, একটি হিজড়া দৌড়ে এসে বাসে থাকা যাত্রীদের কাছে টাকা দাবি করছে, না দিলে যাত্রীদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দিচ্ছে।
বাসের চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, দৈনন্দিন ঘটনা এটা। কিশোরগঞ্জ জেলখানা মোড়, বিন্নাটি, কটিয়াদি ইত্যাদি স্থান গুলি থেকে দুজন বা একজন হিজড়া মহাসড়কে চলাচলকারী প্রতিটি বাসে উঠে পড়ে। প্রত্যেক যাত্রীর কাছে গিয়ে টাকা চাইতে থাকে। কেউ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেই গায়ে হাত দিতেও সংকোচবোধ করেন না, আজেবাজে কথা বলে যা সত্যি লজ্জাস্কর।
একাধিক যাত্রী মিশন ৯০ কে বললেন, হিজড়াদের টাকা আদায় এখন রীতিমতো উৎপাতে পরিণত হয়েছে। এহেন বিষয়ে কতৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত ।