তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বহুদলীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
‘স্বৈরাচার যত শক্তিশালীই হোক, জনগণের ইচ্ছাশক্তিকে দমিয়ে রাখা যায় না’—ফেসবুকে এনসিপি নেতা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও সুসংহত করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি এই মন্তব্য করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, প্রায় দেড় যুগের নির্বাসন ভেঙে তারেক রহমানের এই ফিরে আসা কেবল কোনো ব্যক্তিগত বা দলীয় অর্জন নয়, বরং এটি বাংলাদেশের ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক সংগ্রামের একটি মাইলফলক। তিনি উল্লেখ করেন, “জনাব তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রমাণ করে একজন নাগরিকের নিজ ভূমিতে ফেরার অধিকারকে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা যায় না। স্বৈরাচার যত শক্তিশালীই হোক, জনগণের রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তিকে তা চিরতরে দমিয়ে রাখতে পারে না।”
অভ্যুত্থান-পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা ও চ্যালেঞ্জ:
হাসনাত তাঁর পোস্টে আরও উল্লেখ করেন যে, এই প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে হাজারো শহীদের রক্ত ও গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে ভিন্নমত কোনো অপরাধ নয় বরং অধিকার। নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র শুধু নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং তা হবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সুস্থ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত।”
বিগত দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী শাসনের স্মৃতিচারণ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে তারেক রহমান ও তাঁর পরিবার যেভাবে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তা ইতিহাসের এক উন্মুক্ত দলিল। তবে বর্তমান সময়ে সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখনকার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে তিনি মনে করেন।
স্ট্যাটাসের শেষ দিকে তিনি তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারেক রহমানের এই অংশগ্রহণ জনগণের প্রত্যাশা ও ইতিহাসের দায় পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পোস্টটি ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ ও ‘বাংলাদেশ চিরজীবী হোক’ স্লোগান দিয়ে শেষ করেন তিনি।
