সূর্য যেন ছুটি নিয়েছে; হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় হোসেনপুরে বিপর্যস্ত জনজীবন
পৌষের শুরুতেই ‘মাঘের শীত’; ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় স্থবির জনপদ; বোরো বীজতলা নিয়ে শঙ্কায় কৃষক
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে দেখা নেই সূর্যের। দুদিন থেকে হঠাৎ করেই হাড়কাঁপানো প্রচণ্ড শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতের সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমের কনকনে হিমশীতল হাওয়া এবং মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় উপজেলার সর্বত্রই স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। কনকনে শীত ও কুয়াশার কারণে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের দুর্ভোগ বেড়েছে। সর্দি-কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগব্যাধির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের দিনমজুর মানুষের আয়-রোজগারের ওপরও এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
‘মাঘের শীত বাঘের গায়ে’—খনার এই বচনটি যেন এখন পৌষের শীতের বেলাতেও সত্যি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তীব্র শীতে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডাজনিত নানা রোগের প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। হঠাৎ তাপমাত্রার পারদ নিচে নেমে যাওয়ায় বোরো বীজতলা ও গমের ফলন নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকরা। কৃষিবিদদের মতে, তাপমাত্রা কমে যাওয়া গমের জন্য ইতিবাচক হলেও বোরো বীজতলা ‘কোল্ড ইনজুরি’র কবলে পড়তে পারে।
গত দুদিন ধরে দিনের বেলা শীত কিছুটা কম অনুভূত হলেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে উত্তুরে হিমেল হাওয়ায় ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ছে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে শীত বেশি অনুভূত হওয়ায় সেখানকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পর্যাপ্ত গরম কাপড়ের অভাবে ছিন্নমূল ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষের কষ্ট বেড়েছে। তীব্র শীতের কারণে খেটে খাওয়া মানুষ যেমন কাজে বের হতে পারছেন না, তেমনি ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরাও স্কুলে যেতে পারছে না।