দেড় যুগ পর ফিরছেন তারেক রহমান; রাজধানীতে নিরাপত্তার চাদর
কাল ২৫ ডিসেম্বর পা রাখছেন ঢাকা; বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত নিরাপত্তার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি
দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) লন্ডন থেকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর এই ঐতিহাসিক আগমনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বিএনপি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, তারেক রহমানের নিরাপদ আগমন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “সরকার জননিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে পূর্ণ সমন্বয় নিশ্চিত করা হয়েছে।”
প্রশাসনের কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ছক:
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. বাহারুল আলম জানান, তারেক রহমানের সুরক্ষায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকবে। বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত বিশেষ পুলিশি পাহারা দেওয়া হবে এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ডিএমপির সোয়াট (SWAT) টিম। ডিবির পক্ষ থেকেও পর্যাপ্ত গোয়েন্দা নজরদারি নিশ্চিত করা হয়েছে।
সরকারের পাশাপাশি বিএনপির পক্ষ থেকেও তারেক রহমানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় বিশাল বহর প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামছুল ইসলামকে। তাঁর নেতৃত্বে ‘চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স’ (সিএসএফ) কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করবে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে লন্ডনে পাড়ি জমানোর দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রিয় নেতার প্রত্যাবর্তনে ঢাকার রাজপথে ব্যাপক জনসমাগমের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তবে জনসমাগম যেন জনদুর্ভোগে রূপ না নেয়, সে জন্য শৃঙ্খলার ওপর জোর দিয়েছে দলীয় হাই কমান্ড। তারেক রহমানের বাসভবন ও গুলশান কার্যালয়েও এরই মধ্যে নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে।
