ফেনীতে ‘আমজনতার দল’ থেকে লড়বেন আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল
দল নিষিদ্ধ হওয়ায় এই কৌশল; ফেনী-২ আসনে লড়তে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের নেতা হাজী ওবায়দুল হক। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ‘আমজনতার দল’-এর প্রার্থী হিসেবে তিনি এই মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। হাজী ওবায়দুল হক ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাবেক অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ভিন্ন দল থেকে নির্বাচনের কারণ জানতে চাইলে ওবায়দুল হক জানান, যেহেতু বর্তমানে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নিবন্ধন সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে, তাই দলটির প্রতীক নিয়ে ভোট করার সুযোগ নেই। এই আইনি সীমাবদ্ধতার কারণেই তিনি আমজনতার দলের সদস্য হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে তিনি এখনো বহাল আছেন কি না—এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বর্তমানে তিনি আমজনতার দলেরই সদস্য।
আমজনতার দলের প্রার্থী তালিকা:
আমজনতার দল ফেনী জেলা শাখার আহ্বায়ক আশিষ দত্ত জানিয়েছেন, জেলার তিনটি আসনের মধ্যে ইতিমধ্যে দুটিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। ফেনী-২ আসনে ফরহাদ চৌধুরী ও ওবায়দুল হককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফরহাদ চৌধুরীও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বলে জানা গেছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ফেনীর তিনটি সংসদীয় আসনে মোট ৩০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে ফেনী-১ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৭ জন, ফেনী-২ আসনে ১১ জন এবং ফেনী-৩ আসনে ১২ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রতিটি আসনেই বিএনপির একাধিক নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরা হক জানান, গত ১২ দিনে সর্বমোট ৩০টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের ভিন্ন দলের ব্যানারে নির্বাচনের মাঠে আসায় জেলার রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।