“শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ শেখ হাসিনা ইউনূসকে আমার আগে চিনতে পেরেছে”: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
কালিহাতীর ছাতিহাটি নিজ গ্রামে কবর জিয়ারতের পর মতবিনিময় সভা; লতিফ সিদ্দিকীর ঘোষণা: ‘আর কোনো দলে যোগ দেব না’
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের ছাতিহাটি নিজ গ্রামে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেছেন বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম ও তাঁর ভাই সদ্য কারামুক্ত সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) কবর জিয়ারত শেষে জুম্মার নামাজের পর আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, “আওয়ামীলীগ থেকে আমার ভাই আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও আমাকে বহিষ্কার করা—এটা আল্লাহতালার রহমত ছিল। তা না হলে এই বয়সে আমাকে কারাগারে যেতে হতো।”
ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আজকে শেখ হাসিনাকে একটি ধন্যবাদ না দিলেই নয়। কারণ শেখ হাসিনা ইউনূসকে আমার আগে চিনতে পেরেছে।” তিনি অতীতের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “শেখ হাসিনা বলতো—আপনি সুদখোর, আর আমি ভাবতাম—ইউনূস ভালো মানুষ। কিন্তু পরে বুঝেছি, শেখ হাসিনা তাকে আমার আগে চিনেছে।”
স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রশ্নে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বঙ্গবীর বলেন, “যারা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে তাদের গ্রেপ্তার করার আগে আমাকে গ্রেফতার করতে হবে।”
জুলাই-আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনাকে যারা পতন ঘটিয়েছে, তাদের আমি প্রথমে ধন্যবাদ দিয়েছিলাম। কিন্তু জুলাই-আগস্টের পর তাদের কার্যক্রমের একটি কাজও আমার ভালো লাগেনি।” তিনি আরও বলেন, “আজও আমি ‘জুলাইকে’ সমর্থন করি, কিন্তু সেই সময় যা যা ঘটেছে—সবকিছু আমি সমর্থন করি না।”
মতবিনিময় সভায় সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ঘোষণা দেন, “আমি যতদিন বেঁচে আছি, আর কোনো দলে যোগদান করবো না। আমার ভাই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের নেতৃত্বেই চলব। যতদিন বেঁচে আছি আপনাদের ভালোবাসায় বাঁচতে চাই।”