টিটিপি’র হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
দুবাই যাওয়ার কথা বলে দেশ ছেড়ে পাকিস্তানে গিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এ যোগ দেওয়া মাদারীপুরের এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত যুবক ফয়সাল মোড়ল (২২) ওই সংগঠনের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। ফয়সালের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারে এখন শোকের মাতম চলছে।
দুবাই যাওয়ার কথা বলে দেশ ছেড়ে ছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে গিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এ যোগ দিয়েছিলেন মাদারীপুরের এক যুবক। ফয়সাল মোড়ল (২২) নামে যুবক ওই সংগঠনের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে তিনি পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। ফয়সালের মৃত্যুতে এখন শোকের মাতম চলছে পরিবারের মাঝে।
সরেজমিন জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের ছোট দুধখালী গ্রামের আব্দুল আউয়াল মোড়লের ছেলে ফয়সাল।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল গত মার্চে হিজামা সেন্টারে চাকরির কথা বলে দুবাই যাওয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে ছিলেন। তবে পরে তিনি পাকিস্তানে পৌঁছান এবং সেখানে টিটিপিতে যোগ দিয়ে ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয়েছিল কোরবানির ঈদের আগে, এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ১৭ জন টিটিপি সদস্য নিহত হয় এদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশি যুবক ফয়সালও। পাকিস্তানি গণমাধ্যমে নিহতদের ছবি প্রকাশের পর ফয়সালের পরিবার তাকে শনাক্ত করতে পেরেছিলেন।
ফয়সালের মা চায়না বেগম বলেন, আমার ছেলেকে যারা মেরেছে, তাদের বিচার চাই। আর আমি চাই, আমার ছেলের মরদেহ সরকার যেন দেশে ফিরিয়ে আনে।
পরিবারের দাবি, প্রলোভন দেখিয়ে ফয়সালকে জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত করা হয়েছিল। তারা ফয়সালের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন। ফয়সালের চাচা আব্দুল হালিম মোড়ল বলেন, ভাতিজার বিষয়ে জানতে পারি গত ঈদুল আজহার সময়। গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, সে আফগানিস্তান আছে। ২০২৪ সালের মার্চে দেশ ছাড়ার প্রায় ৬ মাস পরে সে তার বড় ভাই আরমান মোড়লের কাছে মোবাইল ফোনে কল করে বলে, দুবাই আছে এবং ভালো আছে। তবে বিস্তারিত জানতে চাইলে জবাব দিত না সে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পরিবার চাইলে নিহতের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমরা সহযোগিতা করব। একই সঙ্গে কেউ যাতে এমন নিষিদ্ধ সংগঠনে আর যুক্ত হতে না পারে সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।