টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে উপজেলার পাথালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে ঠান্ডার সিরাপ না পেয়ে ক্লিনিকের আসবাবপত্র ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে বাংড়া ইউনিয়নের মোজাফফরগাতী গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে শাহিনের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাতে, পাথালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সোহেল রানা বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কমিউনিটি ক্লিনিকের (সিএইচসিপি) সোহেল রানা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে, বাংড়া ইউনিয়নের মোজাফফরগাতী গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে শাহিন কমিউনিটি ক্লিনিকে আসে ঠান্ডার ওষুধের জন্য। তাকে ঠান্ডার জন্য ট্যাবলেট দেওয়া হলে তিনি সিরাপ দাবি করেন। তখন আমি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করি যে সিরাপ শুধু ছোট বাচ্চাদের জন্য। কিন্তু তারপরও সে বার বার চাওয়ায় একটি সিরাপ দিলে, শাহিন সাথে সাথে সবটুকু একবারে খেয়ে ফেলে এবং আরও ৪-৫ টি সিরাপ দাবি করেন। ৪-৫ টি সিরাপ দিতে অস্বীকার করায় কমিউনিটি ক্লিনিকের যন্ত্রপাতি, ল্যাপটপ, বিপি মেশিন ও ওজন মাপার মেশিনসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ৪/৫ টি সিরাপ জোরপূর্বক নিয়ে চলে যায়।
তিনি আরও জানান, এ সময় তাকে বাঁধা দিতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। পরে বিষয়টি তাৎক্ষণিক পাথালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতি ও বর্তমান ইউপি সদস্য শ্রী কালাচাঁন চক্রবর্তীসহ ক্লিনিকের কয়েকজন সদস্যকে অবহিত করেন সিএইচসিপি সোহেল রানা। পরে বিষয়টি এলাকায় মিমাংসার আশ্বাস দেয় তাঁরা। এলাকায় মিমাংসা না হওয়ায় সোহেল রানা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: উম্মে রুমান সিদ্দিকীকে অবহিত করেন। পরে তার পরামর্শনুযায়ী শুক্রবার রাতে কালিহাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।