ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
মাদারীপুরের কালকিনিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে সাব্বির ফকির নামে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে থানা পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মাদারীপুরের কালকিনিতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে সাব্বির ফকির নামে এক নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পরে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। এদিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকের এই ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্রলীগ নেতা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশ।
মামলার ও ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাকির ফকিরের ছেলে কয়ারিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সদস্য সাব্বির ফকিরের সঙ্গে একই গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর সুবাদে ওই স্কুলছাত্রীকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির ফকির বেশ কয়েকবার বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে গেছে। পরে এক পর্যায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে গত শনিবার রাতে বরিশালের মুলাদী উপজেলা বাটামারা ইউনিয়নের আলীমাবাদ গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ভিটায় নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাকে ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির ধর্ষণ করেন।
এসময় ওই স্কুলছাত্রীর ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির ফকির দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালায়। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে আসামি করে বুধবার মুলাদী থানায় একটি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর মা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার অবুঝ মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে সাব্বির তার জীবন শেষ করে দিয়েছে। তাই আমি তার নামে মামলা করেছি। কিন্তু বর্তমানে আমাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে আসামি পক্ষের লোকজন। তাই আমি এখন আমার পরিবার নিয়ে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।
অভিযুক্ত সাব্বির ফকির ও তার বাবা ইউপি সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতা জাকির ফকিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদেরকে তখন এলাকায় পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি কেএম সোহেল রানা বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে ঘটনাস্থল মুলাদী থানাধীন হওয়ায় এই মামলাটি ওই থানায় হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।