ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবস জাতীয় দিবস: টাঙ্গাইলে লালন ভক্তদের আনন্দ
গত ২৭ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবসকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘোষণার পর টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাগুটিয়া বাজারে অবস্থিত কেন্দ্রীয় সাধু সংঘে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে। ঘোষণার খবর পাওয়া মাত্রই সাধু সংঘে এক স্বতঃস্ফূর্ত উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
গত ২৭ আগষ্ট ২০২৫ তারিখে ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবসকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণার পর টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাগুটিয়া বাজারে অবস্থিত কেন্দ্রীয় সাধু সংঘে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে। ঘোষণার খবর পাওয়া মাত্রই কেন্দ্রীয় সাধু সংঘে এক স্বতঃস্ফূর্ত উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতার নির্দেশে দ্রুত এক জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন—কেন্দ্রীয় সাধু সংঘের সভাপতি বাবু হরি মোহন পাল, প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলম, নির্বাহী সভাপতি ছোবাহান তালুকদার, সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আল কামাল হুসাইন রতন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শিল্পী খোকন, পাঠাগার সভাপতি শাহানুর রহমান শাহীনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সাধু-সজ্জনবৃন্দ।
কেন্দ্রীয় সাধু সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলম বলেন, “আজ আমাদের জীবনের এক ঐতিহাসিক দিন। লালনের দর্শন মানবতাকে পথ দেখায়, সেই দর্শন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলো। আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
সভাপতি হরি মোহন পাল বলেন, “লালন আছেন তার গান ও দর্শনের মধ্যে। জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে তার শিক্ষা ধারণে অনুপ্রাণিত করবে।”
এসময় স্থানীয় শিল্পীরা গান গেয়ে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা বলেন, “আমরা লালনের গান গেয়ে বড় হয়েছি। আজকের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আমাদের জন্য এক গৌরবের ও প্রেরণার দিন।”
উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রীয় সাধু সংঘ জাতীয় পর্যায়ে একাধিকবার লালন সঙ্গীত প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে এবং গত ১০ বছর ধরে তিনদিন ব্যাপী সাধু সম্মেলন ও লালন মেলার আয়োজন করে আসছে। সবার দাবি, আগামী ১৭ অক্টোবর লালনের তিরোধান দিবসে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সারাদেশে ছুটি ঘোষনা, দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালিত হোক।