বিমান বিধ্বস্তে নিহত শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী শহীদ জিয়াউর রহমানের ভাতিজি
২০ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে প্রাণ হারান এই শিক্ষিকা; দাফন সম্পন্ন হবে নীলফামারীতে
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিজের জীবন বাজি রেখে ২০ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে নিহত হওয়া শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাতিজি। জানা গেছে, তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আপন খালাতো ভাই মহিতুর রহমানের মেয়ে।
পারিবারিক পরিচয় ও আত্মত্যাগ
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “নিহত শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী জিয়াউর রহমানের আপন খালাত ভাই মহিতুর রহমানের মেয়ে।” তার বাড়ি নীলফামারীতে।
মেহেরীনের মৃত্যুর পর তার স্বজনরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার পরিচয় তুলে ধরতে শুরু করেন। তারা জানান, মেহেরীন কখনো তার রাজনৈতিক পরিচয় দিতেন না। এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ হলে তিনি নিজে খাবার নিয়ে যেতেন। বাইরের মানুষ তাকে মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষক হিসেবেই চিনতেন, কিন্তু আড়ালে তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদরের ভাতিজি।
দাফন কার্য সম্পন্ন
মেহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ভোরে ঢাকা থেকে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বোগলাগারী গ্রামের চৌধুরী পাড়ায় রওয়ানা দিয়েছেন। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে। ২০ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করা মেহেরীন চৌধুরীর এই আত্মত্যাগ তাকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে।