চট্টগ্রাম

হালিশহরে কোটি টাকার মদ উদ্ধার, কিন্তু চোরাচালানী রয়ে গেছে বহাল তবিয়তে

চট্টগ্রামের হালিশহর থানার ডগির খাল এলাকায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে প্রায় ৪ কোটি ১৫ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা মূল্যের বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়েছে। শনিবার (৩ মে ২০২৫) ভোরে এই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হলেও, স্থানীয়দের অভিযোগ এবং ঘটনার বাস্তবতা বলছে যে চোরাচালান সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং এর পেছনের মূল হোতারা অধরাই থেকে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানার ডগির খাল এলাকায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে প্রায় **৪ কোটি ১৫ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা** মূল্যের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ হলেও, বাস্তব চিত্র বলছে চোরাচালান সিন্ডিকেট এখনো বহাল তবিয়তে সক্রিয়। বারবার অভিযান পরিচালনা হলেও চোরাচালান সিন্ডিকেটের পিছনের শক্তি স্থানীয় চিহ্নিত গডফাদাররা রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।

**শনিবার (৩ মে ২০২৫) ভোর ৫টায়** গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড চট্টগ্রাম বেইস-এর সদস্যরা সফলভাবে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মদ ও বিয়ার জব্দ করে। অভিযানটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় হলেও, প্রশ্ন উঠেছে এই একক অভিযান কি যথেষ্ট। চোরাকারবারিরা ধরা পড়লেও মূল হোতারা বরাবরই রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

সরেজমিনে ডগির খাল এলাকায় গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলেদের সাথে কথা বললে নাম, ছবি প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতি সপ্তাহেই একাধিকবার এই একই পথ ধরে মাদক, লোহা-লঙ্কর ও অন্যান্য অবৈধ চোরাই, নিষিদ্ধ পণ্য পাচার করা হয়। তাদের ভাষ্যমতে, এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে একটি প্রভাবশালী চক্র জড়িত, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন সিন্ডিকেট চালিয়ে যাচ্ছে। ঐ সিন্ডিকেটের সাথে প্রশাসনের অসাধু পুলিশ সদস্য, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা কর্মীরাও জড়িত।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার বিষয়ে একাধিকবার হালিশহর থানাকে অবগত করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বরং থানার ভূমিকা বরাবরের মতো নীরব ও নিষ্ক্রিয় ছিল, যা এসব চোরাকারবারী চক্রকে আসকারা দেওয়ার সমতুল্য।

উঠছে বিভিন্ন গুরুতর প্রশ্ন, যেখানে কোটি কোটি টাকার চোরাচালান হচ্ছে সারা বছর, সেখানে প্রতিবারই মূল হোতারা কীভাবে অধরায় থেকে যাচ্ছে? কে বা কারা তাদের পেছনে ছায়া হয়ে আছে, পুলিশের নীরবতা কি শুধুই দায়িত্বহীনতা, নাকি এর পেছনে রয়েছে বড় ধরনের মদদ?

এই সব প্রশ্নের উত্তর কখনও মেলে না। তবে অনুসন্ধান চলছে, এবং অচিরেই এই চক্রের মূল হোতাদের পরিচয় ও বিস্তারিত চিত্র পত্রিকার পাতায় প্রকাশ পাবে। চোরাচালান বন্ধে একক অভিযান নয়, চাই সমন্বিত ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পদক্ষেপ তবেই থামবে এই ভয়াবহ মাদক ও চোরাচালান বাণিজ্য।

Author

মোহাম্মদ ইসমাইল (ইমন), স্টাফ রিপোর্টার

পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি ৩০ মে থেকে মিশন ৯০ নিউজে চট্টগ্রাম বিভাগীয় এলাকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker