‘ইশরাক হোসেন আইন লঙ্ঘন করছেন’: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
নগর ভবনে ইশরাকের কর্মকাণ্ডকে 'ক্রিমিনাল অফেন্স' ও 'দায়িত্বহীনতা' বললেন আসিফ মাহমুদ, সম্পর্ক নষ্ট না করার অনুরোধ।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আইন লঙ্ঘন করছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, ইশরাক হোসেন বর্তমানে যা করছেন তা একটি ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ এবং তিনি আইন ভঙ্গ করছেন।
বুধবার দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ এই বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি আরও মন্তব্য করেন যে, ইশরাক হোসেনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভুল পথে চালিত করা হচ্ছে এবং তাকে দিয়ে এসব কাজ করানো হচ্ছে।
“ইশরাক হোসেনের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার গেজেট প্রকাশ যখন হয়েছে তখন পর্যন্ত বিষয়টি বিচারাধীন ছিল। তাই সেই সময়ের মধ্যে তার শপথ করানো সম্ভব হয়নি। যদিও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সেসময় তার শপথের জন্য ফাইলও তৈরি করেছিল। পরে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে তা বন্ধ করতে হয়েছে।”
আসিফ মাহমুদ বিএনপির সঙ্গে সরকারের বর্তমান ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়ে ইশরাককে এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, ইশরাক হোসেনের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার গেজেট প্রকাশের সময় বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন ছিল। তাই সেই সময়ের মধ্যে তার শপথ করানো সম্ভব হয়নি। যদিও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তখন তার শপথের জন্য ফাইল প্রস্তুত করেছিল, কিন্তু পরবর্তীতে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে তা বন্ধ করতে হয়।
জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করে ইশরাককে তার বর্তমান অবস্থান থেকে সরে আসার আহ্বান জানান আসিফ মাহমুদ। তিনি বিশ্বাস করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তিনি ইশরাক হোসেনের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল এবং পরিপক্ব আচরণের প্রত্যাশা করেন।
এদিকে, মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ না করলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। সম্প্রতি তাকে নগর ভবনে সভা করতে দেখা গেছে। বুধবার তিনি নগর ভবনে চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মশক নিধন কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন।
মশক নিধন কার্যক্রম শুরুর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা ইশরাক সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তোলেন। তিনি দাবি করেন, “আমরা আন্দোলনের মধ্যেও নাগরিকদের জরুরি সেবা চালু রেখেছি। কিন্তু স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তা বন্ধের ষড়যন্ত্র করেছেন।” তার মতে, “জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করে সরকার একতরফাভাবে প্রশাসক দিয়ে নগর পরিচালনা করছে, যা আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট উপেক্ষার শামিল।”