মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়নি: শেখ মুজিবসহ নেতাদের বিষয়ে স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা
শেখ মুজিবসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়নি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানালেন, মুজিবনগর সরকারের সবাই মুক্তিযোদ্ধা। ফোকাস কিওয়ার্ড: মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়নি
গণমাধ্যমে প্রকাশিত শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের (এমএনএ-এমপিএ) মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল সংক্রান্ত খবর সঠিক নয় বলে স্পষ্ট করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের কারো সনদ বাতিল করা হয়নি।
আজ বুধবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক। তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তাদের কারো সনদ বাতিল করা হয়নি।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, “মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন ও ওই সরকার দ্বারা যারা স্বীকৃত, তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। মুজিবনগর সরকারে শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, কামরুজ্জামান, খন্দকার মোশতাক ছিলেন—তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা।”
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন সরকারের আরেক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ফারুকী তার ফেসবুকে বলেন, “প্রিয় ভাই-বোনেরা, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল—একটা ফেইক নিউজ।”
তিনি আরও বলেন, “নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্পষ্ট স্বীকৃতি দেওয়া আছে। মুজিবনগর সরকারের কোনো সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে গেছে, এটাও এক ধরনের মিসলিডিং নিউজ।”
উল্লেখ্য, এর আগে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে, শেখ মুজিবুর রহমানসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে এবং তাদের পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন অধ্যাদেশে অনুযায়ী, শুধু মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারই নন, আরও চার শ্রেণির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণের কথাও বলা হয়েছিল। তবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এবং উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর স্পষ্টীকরণে বিষয়টি পরিষ্কার হলো যে, মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা পূর্বের মতোই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং তাদের সনদ বাতিল হয়নি।