আতিক মোর্শেদকে দুদকে তলব, নগদে ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের তদন্ত
নগদে ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদকে দুদক তলব করেছে। তার স্ত্রীর নিয়োগেও অনিয়ম।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে। এই গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে এবং এরই মধ্যে আতিক মোর্শেদ ও তার স্ত্রীকে তলব করেছে। আজ রবিবার দুদকের কর্মকর্তারা নগদের গুলশান অফিসে অভিযান চালিয়েছেন।
আজ রবিবার দুপুরের পর দুদকের একটি দল নগদের গুলশান অফিসে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক ইকরাম হোসেন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি জানান, অভিযানে প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তার স্ত্রীকে নগদে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে অসংগতির তথ্য মিলেছে।
নিয়োগে অনিয়ম এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আতিক মোর্শেদ ও তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার (২ জুন) তলব করেছে দুদক। দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে অভিযোগসমূহ:
- ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ: মোবাইল ব্যাংকিং নগদ থেকে ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগ।
- অনিয়মিত কার্যালয়: নগদের কর্মকর্তা না হয়েও সেখানে নিয়মিত অফিস করার অভিযোগ।
- স্ত্রীকে চাকরি প্রদান: প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রীকে ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ।
আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো নগদ থেকে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা। এছাড়া, তিনি নগদের কোনো কর্মকর্তা না হয়েও সেখানে নিয়মিত অফিস করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে, তিনি নিজের স্ত্রীকে ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে, যেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের তথ্য পেয়েছে দুদক।
যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আতিক মোর্শেদ এরই মধ্যে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। ওই পোস্টে তিনি দাবি করেন, এখন পর্যন্ত তিনি মাত্র দুইবার নগদ অফিসে গেছেন, এবং সেটিও ছিল অফিশিয়াল কাজে। তিনি আরও দাবি করেন যে, তার স্ত্রী আবেদন করে নিজ যোগ্যতায় নগদে চাকরি পেয়েছেন এবং এতে কোনো অনিয়ম হয়নি। দুদকের তদন্তে এই অভিযোগগুলোর সত্যতা কতটুকু, তা বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।