ঈদুল আজহা ৭ জুন: বাংলাদেশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে
বাংলাদেশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ঈদুল আজহা ৭ জুন উদযাপিত হবে। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশের আকাশে আজ বুধবার (২৮ মে) পবিত্র জilহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এর মধ্য দিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে ১৪৪৬ হিজরি সনের জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ, অর্থাৎ আগামী ৭ জুন শুক্রবার সারাদেশে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণ এবং জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে আজ সন্ধ্যায়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ধর্ম উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এই সভায় সভাপতিত্ব করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরেই এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
চাঁদ দেখার নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়া:
- উৎস: দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়।
- যোগাযোগ: চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য জানাতে টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বর খোলা রাখা হয়েছিল।
- দ্রুত সিদ্ধান্ত: দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তথ্য আসায় দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য সংগ্রহের জন্য একাধিক টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বর খোলা রাখা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদ দেখা যাওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য আসায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। প্রাপ্ত সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর সর্বসম্মতিক্রমে পবিত্র জিলহজ মাস শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
ইসলাম ধর্মে জিলহজ মাস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে এর প্রথম দশক ইবাদত-বন্দেগির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রমজানের পরে ইবাদতের সবচেয়ে বড় মৌসুম হলো জিলহজের প্রথম দশক। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “আল্লাহর নিকট অন্য যেকোনো সময়ের আমলের চেয়ে জিলহজের প্রথম দশকের আমল অধিক প্রিয়” (সহিহ বুখারি)। এই দশকে হজ, কোরবানি, রোজা ও অন্যান্য নেক আমলের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারে।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ধর্ম উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, চাঁদ দেখা কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সকলের সম্মিলিত পর্যালোচনায় এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।