‘খুনিদের বিচারই প্রধান সংস্কার’, ‘আওয়ামী লীগের টাকায় চলে বিএনপির রাজনীতি’: কুমিল্লায় হাসনাত আব্দুল্লাহ

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন:

‘বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকায়’।

তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের কার্যক্রম আমরা নিষিদ্ধ করতে পেরেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগের অর্থ ব্যবস্থা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।” তিনি দাবি করেন, কুমিল্লায় অনেক উপজেলায় যেমন আওয়ামী লীগের রাজনীতি আওয়ামীলীগের টাকায় চলে, তেমনি বিএনপির রাজনীতিও আওয়ামী লীগের টাকায় চলে।

উপস্থিত বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্যে হাসনাত বলেন, “এখানে যারা বিএনপির নেতা রয়েছেন আপনারা আমাদের শত্রু মনে করবেন না। এটা আপনাদের ভালোর জন্য বলছি। কুমিল্লায় অনেক উপজেলা আছে যেখানে সব দলের রাজনীতি এখন আওয়ামী লীগের টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।”

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের উদ্দেশ্যে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন:

যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে, তারা যখন কোর্টে যায় কোন বিচারক তাদের জামিন দেন? সেগুলোর পেছনে কাদের ইন্ধন রয়েছে; সেগুলো আপনি আমাদের সামনে প্রকাশ করুন। আপনি বারবার বলছেন, আপনাকে ভিলেন বানানো হচ্ছে, আপনাকে যদি কেউ কাজ করতে না দেয়, কেউ বাধা দেয়, কেউ যদি কোনো ধরণের প্রেসারে রাখে সেটা আপনি জাতির সামনে উপস্থাপন করুন।

তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা জামিনে বের হয়ে শহীদদের বাড়ির সামনে ঘোরাফেরা করছে, যা তাদের ব্যর্থতা এবং আসিফ নজরুল স্যারেরও ব্যর্থতা। তিনি আইন উপদেষ্টার কাছে জানতে চান, কেন জানুয়ারি মাসে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা থাকলেও মে মাস পর্যন্ত তা হয়নি।

অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার:

অন্তবর্তী সরকার যদি মনে করে থাকে খুনিদের বিচার ও আওয়ামী লীগের বিচারের চেয়ে অন্য কোনো বড় সংস্কার রয়েছে তাহলে আপনারা ভুলের মধ্যে রয়েছেন। খুনিদের বিচার হচ্ছে এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান ও প্রথম সংস্কার।

তিনি বলেন, তারা সংস্কার ও নির্বাচন দুটোই চান, তবে বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেই নির্বাচন হতে হবে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডে হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, তারা সরকারকে সহযোগিতা করতে চান কিন্তু আশাহত। আহতদের পুনর্বাসন বা কর্মসংস্থান হয়নি, বিচারের অগ্রগতিও হচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেন, তারা রাস্তায় না নামা পর্যন্ত সরকারের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

সার্বভৌমত্ব ও আধিপত্য:

মানবিক করিডোর নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে মানবিক করিডোর বিষয় অবস্থান সুস্পষ্ট করতে হবে। আমরা কোনো ধোঁয়াশার মধ্যে থাকতে চাই না। আমরা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব কোনো পরাশক্তির কাছে বন্ধক দিবো না। এখানে ভারতের আধিপত্য থাকবে না, পিন্ডির আধিপত্য থাকবে না। এখানে কোনো মার্কিন আধিপত্য থাকবে না। বাংলাদেশকে কোনো পরাশক্তির আধিপত্যে আমরা থাকতে দিব না।”

১৪ দলের বিষয়ে প্রশ্ন:

আওয়ামী লীগের সহযোগী ১৪ দলের বিষয়েও অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ১৪ দলের বিষয়ে এ সরকারের কি চিন্তা সেটি স্পষ্ট করতে হবে।