মাদারীপুরে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিশুসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের জেলার রাজৈর উপজেলার বৌলগ্রাম নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরে মহাসড়কে প্রায় ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এসময়ে ঘণ্টাব্যাপী বন্ধ থাকে যানবাহন চলাচল। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দর থেকে মাদারীপুর যাওয়ার সময়ে রাহমা ক্লাসিক নামে একটি লোকাল যাত্রীবাহী বাসটি পথিমধ্যে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বৌলগ্রাম এলাকায় আসলে বরিশাল থেকে আসা ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মাইক্রোবাসের সামনের দিকের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়।
এ ঘটনায় দুই শিশুসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে প্রায় ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা্
গুরুতর আহতরা হলেন- পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সাকুর শিকদারের স্ত্রী তনু বেগম (৩০), তার শিশু মেয়ে সাদিকা (৮), শিশু ছেলে সারাব (৩), তার মামা সোহাগ (৩৫), একই উপজেলার মিজান (৩৮), বরিশাল সদরের কবির হোসেন (৬০), আজিজ (৫৫), কবির (৪৫), মাইক্রোবাস চালক কুমিল্লার মজিবর (৫০)। এদের সকলকে রেফার্ড করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকেরহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মো. ইসমাইল জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মাইক্রোবাস চালককে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রাজৈর হাসপাতালে নিয়ে আসি। বাকিদের আগেই উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে আনে।
মোস্তফাপুর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সারজিন ফরহাদ জানান, ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস ও মাদারীপুরগামী একটি লোকাল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসে থাকা ড্রাইভারসহ যাত্রীরা বেশি আহত হয়। তবে মাইক্রোবাস চালককে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে রাজৈর হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।