সরিষাবাড়ী

সরিষাবাড়ীতে মসজিদে যাতায়াত রাস্তা নিয়ে হট্টগোল

লাশ করব দিতেও বাঁধা

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মসজিদে যাতায়াত রাস্তা নিয়ে সমাজবাসীর দুইপক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় সমাজে মারা যাওয়া ব্যক্তির কবর দিতেও বাঁধা প্রয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রবিবার (৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর বেপারীপাড়া এলাকায় এঘটনায় ঘটে। এ ঘটনায় সরিষাবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ ও স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, ‘দীর্ঘ ১ বছর যাবত কৃষ্টপুর বেপারীপাড়া নূরানী জামে মসজিদের নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। সেই বিরোধে সমাজের মানুষ মসজিদ থেকে দুইটি ভাগে ভাগ হয়। যেখানে তিন ভাগের ২অংশ এদিকে আর ১অংশ অন্যদিকে।

মসজিদে যাতায়াত করা জন্য সরকারি রেকর্ডভুক্ত ১৭২ ফুটের রাস্তা রয়েছে। পৈত্তিক সুত্রে সেই জায়গা মালিক হলেন মৃত ইয়ার হোসেনের ছেলে মো. ওয়াজ করুনীরা। সমাজবাসীর যাতায়াত কৃত সেই রাস্তা আ.লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ১বছর পূর্বে দখল করে নেন একই গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে লাল মাহমুদ গংরা।

ঐ রাস্তা দিয়ে সমাজের প্রায় ২শতাধিক মানুষ চলাচল করেন। এতে চলাচলের ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়। এই নিয়ে দুই দিন যাবত ঐ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার ওয়াজ করুনীর ভাই দেলোয়ার হোসেন ইমামুল নামে এক ব্যক্তি হটাৎ মৃত্যুবরণ করেন। পরে বিকাল বেলা জানাজা শেষে সামাজের একমাত্র কেন্দ্রীয় গোরস্তানে দাফনের প্রস্তুতি নেয়।

এসময় সমাজের একপক্ষ লাল মাহমুদ, হবিবুর রহমান, শামস উদ্দিন, নাজমুল, মুস্তাজ আলী, হাসেম, হারুন শাহিন মিয়া, রাজা মিয়া, আবু বক্কর গতু সহ অনেকেই লাশ দাফনে বাধাঁ প্রয়োগ করেন। এই নিয়ে সমাজবাসীর মধ্যে শুরু হয় হট্টগোল।

পরদিন আজ রবিবার দুপুরে ওয়াজ করুনী নামে ঐ ব্যক্তি সমাজবাসীর চলাচলের রাস্তা ফেরত এবং দোষীদের শাস্তির দাবীতে সমাজবাসীর পক্ষে সরিষাবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ওয়াজ করুনী বলেন, ‘সুদ-ঘুষের ওয়াজ করায় মসজিদের ইমাম সাহেব নিয়ে সমাজের ৩০টি পরিবারে লোকজনের অনেক সমস্যা হয়। তাদের মধ্যে লাল মাহমুদ ও তার ছেলে নাজমুলে বেশি সমস্যা হয়। সমাজের ১৫০ ঘর রয়েছে এদের মসজিদে বিরোধ হওয়ায় ১২০টি ঘর এদিকে অন্য ৩০টি ঘর।

মসজিদে যাতায়াত করার জন্য আমরা রাস্তা দিয়েছি। সেই রাস্তা জোরপূর্বক টাকার প্রভাবে দখল নিয়ে ঘর-বাড়ি তুলেছেন। এখন সমাজবাসীর চলাচল করতে অনেক সমস্যা। যার ফলে আমি সহ সমাজের ১২০ ঘরের মানুষ মসজিদে নামাজ পড়তে যায় না।

আমরা নামাজ পড়তে যায়না বিদায় আমার ভাইয়ের লাশ সমাজের গোরস্তানে দাফনে বাঁধা দেয় লাল মাহমুদরা। পরে সমাজবাসীর সবার চাপে ঐ গোরস্তানেই লাশ দাফন করা হয়। আমরা এমন ঘটনার একটি সঠিক বিচার চাই।

এঘটনায় অভিযুক্ত লাল মাহমুদ গংদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘যাতায়াত রাস্তা আমরা দখল করিনি। লাশ দাফনে কোন বাঁধাও দেওয়া হয়নি। তারা লাশ দাফন ভালোভাবে করেছেন।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার উপপরির্দশক বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker