জাতীয়

এবার মোদি ও তার অনুসারীদের ধরে ধরে পিটাবে মানুষ!

সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলের টকশোতে ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বলেন, “মোদির বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে সহসা। ইন্ডিয়ার ভিতরে ওদেরকে পিটাবে।বাংলাদেশের আওয়ামী লীগও কিন্তু ওই দেশে যারা আছে তারাও তাদেরকে ধরবে। ।”

ওমর ফারুক বলেন, “মোদি কিছুদিন আগেও প্রাইম মিনিস্টার হওয়ার পরেও সে ওয়ার্ল্ড টেরোরিস্ট ছিল। তারা এখন একঘরে হয়ে গেছে। এদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে সহসা। ইন্ডিয়ার ভিতরে ওদেরকে পিটাবে। এবং ওদের কারণে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ যে অশান্তিতে আছে, বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ যে আন্ডার থ্রেটে আছে, বাংলাদেশের আওয়ামী লীগও কিন্তু ওই দেশে যারা আছে তারাও তাদেরকে ধরবে। কয়দিন একটু অপেক্ষা করেন।”

তিনি বলেন, “আপনাদের মনে আছে যে রোজা বা রোজার আগে পরে যাকে যে ফ্যাসিস্টকে ভারত লালন করত, তাদেরকেও পেঁয়াজ দিয়ে অত্যাচার করেছে! পেঁয়াজ দিয়ে ক্রাইসিসে ফেলে তাদেরকে দুর্বল করেছে।অপ্রিয় করেছে মানুষের কাছে।”

তিনি আরও বলেন, “অর্থাৎ, বাংলাদেশের সরকার অপ্রিয় থাকলে, মানুষের কাছে অপ্রিয় থাকলে, অবসলিউট ম্যান্ডেট না থাকলে তাদের দিকে ঝোঁকে। কারণ, বাংলাদেশ তো ৫৩ বছর সামরিক স্বৈরশাসন, বেসামরিক স্বৈরশাসনে ছিল। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। অর্থাৎ সামরিক আবরণে স্বৈরশাসন ছিল, বেসামরিক আবরণে স্বৈরশাসন ছিল। স্বৈরশাসন থাকলে সরকার দুর্বল থাকে। দুর্বল থাকলে ওই ভারতের পায়ের কাছে গিয়ে পড়ে, বাবা ঠিক আছে, তুমি আমাদেরকে একটু বাঁচিয়ে রাখো।”

ওমর ফারুক বলেন, “কিন্তু ডক্টর ইউনূস এমন একটা সরকার, যে সরকার আমি ৯৫ কি ৯৬% মানুষের সমর্থন নিয়ে হয়েছে। ফ্যাসিস্টকে যারা অন্ধভাবে সমর্থন করে আমি তাদেরকে বাদ দিলাম। তাদের অসমর্থনকে আমি রেসপেক্ট করে বলতেছি, তারা বাদে ৯৫% এর সরাসরি সমর্থনে।”

তিনি আরও বলেন, “অনেকে বলে যে তারা ইলেক্টেড না ভোটে না। ইলেক্টেড হইতো যদি আমি কাগজে টিক দিয়ে দিতাম। আমি কাগজে টিক দেওয়া ছাড়া সর্বসম্মতভাবে আমি হাত তুলে, স্লোগান দিয়ে, তাদের জন্য দুইদিন অপেক্ষা করে আমি তাদেরকে সরকারে বসিয়েছি। এরপরে আবার নির্বাচিত অনির্বাচিত আসে কেন? এটি আমার কথা।”

ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বলেন, “ডক্টর ইউনূসের কোন পিছুটান নেই বা কোন খায়েশ নেই। কিভাবে বুঝবেন? এত বড় একটা চীন সফরের পরে ডক্টর ইউনূসের নামে কোন পোস্টার ঢাকা শহরে নাই। বাংলাদেশে নাই।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশে কি সমুদ্রবিজয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা পর্যন্ত পোস্টার দিয়েছে শেখ হাসিনার নামে- অভিনন্দন, অভিনন্দন, অভিনন্দন! তারপরে কোন একখানে গেলেই হলো, আজেবাজে সংবাদ সম্মেলন করে যাচ্ছে তাই অবস্থা। কিন্তু ডক্টর ইউনূসের কোন সাউন্ড নেই।”

ওমর ফারুক বলেন, “কিন্তু সাউন্ড একটাই, যে চীন সরকার একটা বৃহৎ, একটা শক্তিশালী দেশ। তাকে কিভাবে নিয়ে গেল? তাকে নিয়ে কিভাবে সে ওয়েলকাম জানালো? এবং ২ বিলিয়নের যে একটা চুক্তি হলো এবং আরো অনেকগুলো সমযোতার কথা আমরা যে শুনলাম। একটা হোপ যে এসেছে, এই হোপ তো আমাদের জন্য অনেক বড় এচিভমেন্ট।”

তিনি আরও বলেন, “এই এচিভমেন্টকে ভারত কখনোই ভালোভাবে নেবে না। এটি স্বাভাবিক। তার মোড়ালিপণা তো শেষ হয়ে গেল। তার পেয়াজের আমার দরকার নেই, তার চাউল ছাড়া আমাদের চলে, তার কাঁচামরিচ ছাড়া আমাদের চলে, লঙ্কা ছাড়া। তারপরে তার হসপিটাল ছাড়া তো চলছে।”

তিনি বলেন, “তার স্কুলে আমার বাচ্চারা যাচ্ছে না, চলছে না? আমরা টেস্টেড হয়ে গেছি, বাংলাদেশ এখন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে যে তাদের বাদ দিয়ে আমাদের চলা যায়, ভালোভাবে চলা যায়।”

তিনি আরও বলেন, “এই স্বস্তির রমজান, এই স্বস্তির ঈদ, এই স্বস্তির বাড়ি যাওয়া, এই স্বস্তির বিদ্যুৎ। আমার মনে পড়ে না যে এরকম ঘটনা ঘটেছে, আমরা সেহরি খেয়েছি, নির্বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ছিল, ইফতার খেয়েছি, নির্বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ছিল বা আমরা বাজারে গিয়েছি, খুব শান্তিপূর্ণভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে সব জিনিস পেয়েছি।”

তিনি বলেন, “এবং আমার মনে হয় গত ২৫-৩০ বছরের ইতিহাসের সর্বনিম্ন দামে, সহনীয় দামে আমরা পণ্য কিনেছি। অর্থাৎ, ভারত আমাদেরকে টোটালি অফ করে দিয়েছে এই পণ্য, এই আমদানি। হয়তো কিছু ছোট্ট আকারে হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “কিন্তু আমরা এই যে প্রফেসর সাহেব বললেন আমরা পাকিস্তান থেকে এনেছি, ভিয়েতনাম থেকে এনেছি, আমরা চায়না থেকে এনেছি, এনে আমরা ভালো আছি।”

ওমর ফারুক বলেন, “এখন যে কথাটি এসেছে, আজকে নরেন্দ্র মোদি বসতে চেয়েছে। অবশ্যই আপনি ‘সেরের উপর সোয়া সের’-একটা কথা আছে আমাদের লোকাল ল্যাঙ্গুয়েজে। যদি আমি বলি, আপনি একটা ভারী বিষয়ে আলোচনা করেছেন, লোকাল ল্যাঙ্গুয়েজ বলা হয়তো সমিচীন না।”

তিনি বলেন, “ওই যে সেরের উপর সোয়া সের। ইন্ডিয়া কিন্তু ভাবতেছে যদি চায়নার সাথে আমাদের একটা প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়ে যায় বা যদি এরকম কোন ইঙ্গিত যদি আকাশে বাতাসে এখন আসে, আপনার এই টকশোর মাধ্যমে যদি আসে যে এরকম একটা পসিবিলিটি আছে।”

তিনি আরও বলেন, “তারপরে আপনি সেভেন সিস্টারের কথা পাবেন। কী দারুণ অশান্তি! সেভেন সিস্টার নিয়ে তাদের সেভেন সিস্টার ওরা আমাদের চিকেন নেক ভাগ করবে? বাংলাদেশ এখন মর্যাদার আসনে আছে। বাংলাদেশ এখন ভালো অবস্থায় আছে।”

তিনি বলেন, “আমি যে স্বস্তির কথাগুলো বলছি, এই স্বস্তির জন্য এই সরকারকে ক্রেডিট দিই। আমরা অনেক সমালোচনা করি। সমালোচনা আছে তাদের এবং সমালোচনা তারা ডিজার্ভও করে। কিন্তু তারপরও আমি যে পাঁচ ছয়টা স্বস্তির কথা বললাম, এই স্বস্তির জন্য তো ক্রেডিট দেওয়া যায়।”

তিনি আরও বলেন, “এখন মানুষ প্রশ্ন উত্থাপন করে, এখন মানুষ জিজ্ঞাসা করে, এখন মানুষ রাজনৈতিক দলকেও জিজ্ঞাসা করে যে, তুমি যা যা বলতেছ, তুমি এখন শুধু ভোট চাচ্ছ, বিচার চাচ্ছ না।”

তিনি বলেন, “অর্থাৎ, নানাবিধ আকারে, নানাবিধ প্রকারে আমরা সবাই যে প্রশ্ন উত্থাপন করার সুযোগ পেয়েছি, এটি কিন্তু ফর ডেমোক্রেসি।”

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker