জাতীয়টাঙ্গাইলবিএনপি

আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর সরকারের পতনে বাংলার মানুষ রুখে দাঁড়াবে: আহমেদ আযম খান

বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনে বাংলার মানুষ রুখে দাঁড়াবে- দেশে একটি নতুন বাতাস দেখতে পারবেন। তখন দেশের ছোট-খাট সকল দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ বিএনপির নেতৃত্বে দেশ পরিচালনা করবে।

তিনি বলেন, সারা দেশের মানুষ বিএনপির পক্ষে একতাবদ্ধ হয়েছে। রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় সম্মেলনে মানুষ পায়ে হেটে যোগদান করেছে। সরকারের অঘোষিত ধর্মঘটের কারণে সাধারণ মানুষ চিড়া-মুড়ি নিয়ে ফুটপাতে রাত যাপন করে সম্মেলনে অংশ নিয়ে নেতাদের কথা শুনেছে। সরকারের সীমাহীন অরাজকতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ বিএনপির পক্ষে একতাবদ্ধ। লুটপাটের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা জরুরি হয়ে পড়েছে।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু ভিআইপি অডিটরিয়ামে জেলা বিএনপির ১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা স্কাইপির মাধ্যমে বাংলাদেশে থাকছেন। তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে পরামর্শ করে নেতাকর্মীদের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তার নির্দেশেই আমরা রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

তিনি বলেন, টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়া ঈদগাঁ মাঠে ১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে আমরা টাঙ্গাইল জেলার ৮টি সংসদীয় আসনের ২৩ টি সাংগঠনিক ইউনিটের সম্মেলন শেষ করেছি। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ২৩টি সাংগঠনিক ইউনিটের ২৩ হাজার ২৩ জন কাউন্সিলর তাদের নেতা নির্বাচন করবেন।

জেলা বিএনপির নেতাদের প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে বিষয়ে তিনি বলেন, সম্মেলনের পর কোন কোন্দল-দ্বন্দ্ব বা বিভেদ থাকবেনা। তাছাড়া বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল।জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে প্রতযোগিতা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে- কিন্তু কোন প্রতিহিংসা নেই। যারা নেতৃত্ব নিয়ে অন্তদ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন তারাও কিন্তু এবারের সম্মেলনে প্রার্থী হয়েছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি পদে ৩ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের অভ্যন্তরেও গণতন্ত্র চর্চার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। সেজন্যই প্রতিটা সম্মেলনে কাউন্সিলররা গণতান্ত্রিক পন্থায় ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে পারছে। সরকারের হামলা-মামলার কারণে আমরা এতদিন দলের কাউন্সিল করতে পারছিলাম না। তিনি জেলা বিএনপির ১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে সাংবাদিকদের অংশগ্রহনের আমন্ত্রণ জানান।

মতবিনিময় সভায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন প্রিণ্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker