মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া নিপীড়িত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন তিনি।
অ্যান্টনি ব্লিনকেন তাঁর বিবৃতিতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে মহিব উল্লাহর হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক ও নিন্দা জানায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউএনএইচসিআর-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা মহিব উল্লাহর পরিবার এবং বৃহত্তর রোহিঙ্গা শরণার্থী সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি, যারা তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। আমরা অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি এই ঘটনার সঠিক তদন্তের এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর জানায়, ক্যাম্পসমূহে বসবাসকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
ইউএনএইচসিআর ক্যাম্পসমূহে এর কর্মীদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে; যেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সেবা পায় এবং তাদের যেকোন উদ্বেগের কথা জানাতে পারে। শরণার্থীদের সুনির্দিষ্ট চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে মনোসামাজিক সহায়তাসহ সুরক্ষা এবং অন্যান্য পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রশিক্ষিত পেশাজীবীগণ এবং শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবীরা শরণার্থীদের জন্য হেল্পলাইনে সার্বক্ষণিক সহায়তা দিচ্ছে- বলা হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সহিংসতা থেকে সুরক্ষা ও নিরাপত্তার খোঁজে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা, সুস্থতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ এবং অংশীদারদের সাথে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।
গত বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.