জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলনের অষ্টম দিনে গতকাল রবিবার কয়েকটি সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পরিবহন চত্বরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফরম ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ সমাবেশ করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক স্নিগ্ধা রেজওয়ানা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়ার কথা ছিল সাংস্কৃতিক মঞ্চ, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার কথা ছিল গাছ-গাছালি, পাখি, কিন্তু এখন এটা মাদকের অভরায়ণ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরাপদ ক্যাম্পাস দিতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রক্টর দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে আছেন তার পরও তিনি জানেন না কোথায় ছিনতাই হয়, মাদক সিন্ডিকেট কারা চালায়। যদি উনি না জানেন তাহলে এটা তাঁর ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতা নিয়ে উনি কিভাবে প্রক্টরের দায়িত্বে এখনো বহাল আছেন।’
দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ ময়নুল আলম নিজার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা পাল্টে গেছে, পাল্টে গেছে স্বায়ত্তশাসনের ধারণা। জাহাঙ্গীরনগরে স্বায়ত্তশাসনের দিকে তাকালে কী দেখি, মাদকের অভরায়ণ্য, মাদকের আশ্রয়। বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে দাঁড়িয়েছে অপরাধী, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়কেন্দ্র।
এটি খুবই ন্যক্কারজনক। আমার মনে হয়, এই উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে যাঁরা আছেন তাঁদের আইডিয়া নেই বিশ্ববিদ্যালয় কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে। আমি মনে করি, প্রশাসনের উচিত ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার আগে আমাদের চার দফা দাবি মেনে নেওয়া।’
এদিকে সন্ধ্যা ৭টায় চার দাবিতে মশাল মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফরম ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’। তাদের দাবি হলো, ধর্ষক ও তাঁর সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এটি খুবই ন্যক্কারজনক। আমার মনে হয়, এই উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে যাঁরা আছেন তাঁদের আইডিয়া নেই বিশ্ববিদ্যালয় কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে। আমি মনে করি, প্রশাসনের উচিত ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার আগে আমাদের চার দফা দাবি মেনে নেওয়া।’
এদিকে সন্ধ্যা ৭টায় চার দাবিতে মশাল মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফরম ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’। তাদের দাবি হলো, ধর্ষক ও তাঁর সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.