গুলিস্তানের একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃতদেহ এসেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এতে আহত হয়ে সেখানে ভর্তি হয়েছেন শতাধিক। এ ছাড়া শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে সাতজনকে।
এদিকে একসঙ্গে এত মৃহদেহ রাখা নিয়ে বিপাকে পড়েছে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। সেখানে ফ্রিজে রাখার পর ফ্লোরে রাখা হয়েছে মৃতদেহ। মৃতের সংখ্যা বাড়লে এখানেও রাখা সম্ভব হবে না।
হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, আমরা লাশ রাখার বিকল্প ব্যবস্থা করছি। মৃতদেহগুলো মেডিক্যাল কলেজ মর্গে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
মর্গ সহকারী সেকেন্দার জানিয়েছেন, ৪০টি মরদেহ রাখার একটি ফ্রিজ আছে। সেখানে ৮-১০ জনের লাশ আছে। এ ছাড়াও পাঁচটি ফ্রিজ রয়েছে যা ২-৩ মাস যাবৎ নষ্ট হয়ে আছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে বড় ফ্রিজে লাশ রাখা হবে।
পরিচালক নাজমুল হক বলেন, পরিচয় শনাক্ত ও মরদেহ স্বজনদের দেওয়া আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়। সেক্ষেত্রে মরদেহ যেন নষ্ট না হয় তাই ফ্রিজে রাখতে হবে।
ঢামেক পরিচালক সাংবাদিকদের এখন পর্যন্ত ১২০ জনের বেশি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানিয়েছেন। দুজন ভেন্টিলেশনে আছে। ১১ জন নিহতের খবর দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে বিস্ফোরণের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ১১টি ইউনিট কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.