ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একটি কোর্সের নারী শিক্ষার্থীদের প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সময় বাধ্যতামূলক মুখ খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে ওই প্রেজেন্টেশন স্থগিত রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের অপরাধবিজ্ঞান কোর্সের শিক্ষার্থীদের এমন নির্দেশ সম্বলিত নোটিশ দেন অধ্যাপক ড: শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন)। কিন্তু বিষয়টিকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ওই কোর্সের প্রেজেন্টেশন নেওয়া স্থগিত রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মোল্লা মোহাম্মদ ফারুকী এহসান গণমাধ্যমকে বলেন, ওই শিক্ষকের এই কর্মকাণ্ড নিন্দনীয়। যা সংবিধানে দেওয়া ধর্মীয় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। নিকাবধারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান ঢাবির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যের বিপরীত।
এদিকে, এক বিবৃতিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ঢাবি শাখার সভাপতি জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আহসান বলেন, এটি দুঃখজনক বিষয়। এটি অমানবিক ও শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্টকারী ঘটনা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মুখ খোলা রাখার নোটিশের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড: শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন গণমাধ্যমকে বলেন, নোটিশে বাধ্যতামূলক করা হয়নি। কেউ নিজের মতো ভেবে নিলে তো হবে না। আর নোটিশটি গত ১০ বছর ধরে দেওয়া হচ্ছে। এটি নতুন নয়।
এছাড়া প্রেজেন্টেশন কীভাবে নেওয়া হবে সেটা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বুঝবেন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বছর অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জনের বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছিল।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.