জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী হৃদরোগে আক্রান্ত বাবার চিকিৎসার অর্থ জোগাড় করতে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করতে চান। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে ওই শিক্ষার্থী নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কিডনি বিক্রি করার জন্য সহযোগিতা চেয়ে একটি পোস্ট দেন।
ওই শিক্ষার্থীর নাম ফতেহ আলী খান আকাশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী।
পোস্টটি সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই পোস্টে ফতেহ আলী খান আকাশ লিখেছেন, ‘আব্বুর হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। অক্সিজেন মিটার ৩৫% এ নেমে আসছে। জরুরি ভর্তি করাতে হবে।
ডাক্তার বলছে- পেইসমেকার লাগাতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। কিন্তু এই মুহূর্তে পেইসমেকার লাগানোর মতো এত টাকা আমার কাছে নাই। তাই আমি আমার একটা কিডনি বিক্রি করে দিতে চাচ্ছি। ঢাকায় কোথায় কিডনি বিক্রি হয়? এক কিডনি নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো, আব্বুকেও বাঁচাতে পারবো।
ফতেহ আলী খান আকাশ বলেন, ‘আজ (বুধবার) সকালে বাবাকে শেরে বাংলায় হৃদরোগ হাসপাতালে ভর্তি করাবো। সেখানে বাবার ট্রিটমেন্ট শুরু হবে। বাবার শরীরে পেসমেকার লাগানোর কথা বলছেন চিকিৎসকরা, কিন্তু এ মুহূর্তে পেসমেকার লাগানোর মতো টাকা আমার কাছে নেই। সেজন্যই কিডনি বিক্রি করার জন্য ফেসবুকে আমার পোস্ট দেওয়া। আমার কিডনি বিক্রি করে হলেও বাবার চিকিৎসা করাতে চাই।
এই স্ট্যাটাসের পর কেউ যোগাযোগ করেছে কিনা জানতে চাইলে আকাশ বলেন, ‘ক্যাম্পাস থেকে এখনো প্রশাসন যোগাযোগ করেনি তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু, ছোটভাই সবাই কল দিচ্ছে। বাংলা বিভাগের এক শিক্ষকও খোঁজ নিয়েছেন।’
ফতেহ আলী খান করোনা মহামারির সময় হাসপাতালে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের গান শুনিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও গানের জন্যই জনপ্রিয় তিনি।
আকাশের সহপাঠী মহিউদ্দিন রিফাত বলেন, সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী। কতটা অসহায় পরিস্থিতির শিকার হলে ছেলে তার বাবার জন্য নিজের কিডনি বিক্রি করতে চায়? আঙ্কেলের জীবন বাঁচতে সবাইকে মানবিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.