ডলার ও সুদের হার বৃদ্ধি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। তিনি বলেছেন, এতে করে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় ভালো করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ সুসংগঠিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ২৯তম বার্ষিক ইউএস ট্রেড শো-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, অ্যামচাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ‘ডলার ও সুদের হার বাড়ানো সময়ের দাবি। অনেক আগেই সুদের হার বাড়ানো কথা ছিল। এ ছাড়া মূল্য স্ফীতি কমাতেই সুদের হার বাড়ানো হয়েছে।
এটার বাস্তবতা বিবেচনা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে পুনঃবিবেচনা করা হবে। দেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ বেশ শক্তিশালী। এরফলে আমদানি বা দেশের অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কেননা অনেক বেশি মূল্যেই আমাদের পণ্য আমদানি করা হতো।’
দেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ অনেক শক্তিশালী উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ কিছু দিনের মধ্যে বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সক্ষম হবে।’ গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশ তেকে মুদ্রা পাচার নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য নেই। এ ছাড়া আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠান এটা বললেও তারা সঠিক ডাটা দিতে পারেনি। ঋণ খেলাপি কমানোর জন্য বাংলাদেশে ব্যাংক কাজ করছে।
ব্যাংকগুলো একীভূত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্বের সব জায়গায় এটা হয়। ব্যাংকগুলো চাইলে স্বেচ্ছায় এটা করতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য জোর প্রয়োগ করছে না।’
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কর ও ভ্যাট ব্যবস্থা; আমাদের কর ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে কারণ আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিম্ন।’ গত বছর থেকে এ বছর কর অনুপাত কমেছে। এজন্য সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। আমি দীর্ঘদিন ধরে করের হার না বাড়িয়ে ট্যাক্স নেট বাড়ানোর কথা বলে আসছি। দুর্ভাগ্যবশত, এনবিআর ট্যাক্স নেটের মধ্যে থাকাদের ওপর বেশি করে কর আরোপ করছে, আর যারা ট্যাক্স নেটের বাইরে আছে তারা অস্পষ্ট রয়ে গেছে। আমাদের কর নেট প্রশস্ত করে এবং করের হার কমিয়ে রাজস্ব বৃদ্ধির করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সীমান্ত পর্যায়ে আমাদের ট্যাক্স, ভ্যাট এবং শুল্ক ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাল করতে হবে এবং সবকিছু অনলাইনে সরাতে হবে। আমেরিকান কম্পানিগুলো তাদের প্রযুক্তি এখানে এনে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।’ তিনি আরো এফডিআই আকৃষ্ট করতে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের জন্য রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.