জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বসতভিটা জমি নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ ৫জন আহত হয়েছেন।
গত সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের কান্দারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গুরুত্বর আহতদের সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- তোফাজ্জল হোসেন (৭০), রিনা বেগম (৪৫), হাছনা বেগম (৫৫), সাব্বির মিয়া (২০), ছাহারা খাতুন (৯০)।
আহত ও স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, কান্দারপাড়া গ্রামের আয়ুব আলীর বসতভিটার ১৭শতাংশ জমি রয়েছে। সেই জমিতে আয়ুব আলীর ৫ সন্তানের মধ্যে এক ছেলে হাফিজুর রহমান (৪৫) জোরপূর্বক বসত ঘর তুলার জন্য কার্যক্রম করেন। এসময় আয়ুব আলীর বড় ছেলে তোফাজ্জল হোসেন ও মেজো ছেলে বেলাল হোসেনের স্ত্রী রিনা বেগম বাধাঁ দেন। এক পর্যায়ে দুইপক্ষের বাকবির্তক সৃষ্টি হলে হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে তার ছেলে সাব্বির মিয়া, রাব্বি মিয়া ও তার বোন রহিমা বেগম এবং তার ভাই আব্দুর ছাত্তার তাদের উপর হামলা করেন।
পরে পরিস্থিতি উগ্রভাব হলে সাব্বির মিয়া শাবল ও কোদাল নিয়ে বেলাল হোসেনের বসতঘরে হামলা করে ঘরে বেড়া ভাংচুর করেন। এসময় তোফাজ্জল হোসেন বাঁধা দিলে দুইপক্ষের ৫জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত ৩ জনকে সরিষাবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অপর ২জনকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বসতবাড়ির জমিটা ৫ ভাইয়ের। সেখানে হাফিজুর জোরকরে একাই ঘর তুলার চেষ্টা করে। আমরা বাধাঁ দিলে আমাদের মারধর করেন।
এ-বিষয়ে হাফিজুর রহমান বলেন, ১৭ শতাংশ জমির মধ্যে তিনি তার পিতার কাছ থেকে ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। সেই জমিতে তিনি ঘর তুলতেছেন। সেখানে সকল ভাইদের জমি নেই। তিনি মারামারির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন তার ভাই ভাবিদের উপর তিনি হামলা করেনি।
এ-ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানা (ওসি) তদন্ত আব্দুল মজিদ জানান, জমি সক্রান্ত বিষয়ে মারামারি ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.