সরিষাবাড়ী

সরিষাবাড়ীতে ‘স্বাধীনতা দিবসে’ মুক্তিযোদ্ধাদের ঘন্টা’ব্যাপী অনুষ্ঠান বর্জন

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে উপজেলা প্রশাসন কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বসার জায়গা সংকলন থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন করেন উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাগন।

প্রশাসনের এমন অব্যবস্থাপনা আয়োজনকে দায়ী করছেন অনুষ্ঠান দেখতে আসা সাধারন মানুষ। শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল ৮:৩০ মিনিটের দিকে সরিষাবাড়ী অনার্স কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ঘন্টাব্যাপী তারা এ অনুষ্ঠান বয়কট করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অফিসে অবস্থান করেন। এ সময় কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করতে আসা উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ তৈরি হয়। উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে অনুষ্ঠানে আসা সাধারণ মানুষ।

স্বাধীনতা দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস গুলোতে সবসময়ই বসার অব্যবস্থাপনাসহ নানা অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের মাঝে এক ধরনের ক্ষোভ বিরাজমান ছিলো।

তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে একই পরিস্থিতি তৈরি হলে ৮:৩০ মিনিটে তারা অনুষ্ঠানস্থল বর্জন করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে চলে যায়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে ১০:৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে ফিরিয়ে আনেন। এর পরে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ লতিফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসানউল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কোরবান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী সরকারসহ আরও অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় দিবসগুলো উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে হয়ে থাকে। জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানসহ প্রশাসনের নানাধরনের অব্যবস্থাপনার কারণে আমরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেছিলাম।

দেশ স্বাধীন করে যদি স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের বসার জায়গা না থাকে এর চেয়ে কষ্টের আর কি থাকে। আমরা অসম্মান বোধ করেছি তাই অনুষ্ঠানের স্থল ত্যাগ করি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা অব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলে আমরা আবারও অনুষ্ঠানে ফিরে আসি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রায় ৫ শতাধিক আসন রাখা হয়েছে। কিন্তু তারা এসেছেন ৩২০ জনের মতো। কিছুটা ভুল-বোঝা-বুঝি হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা অনুষ্ঠানে শুরুর আগেই চলে যান। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়েই যেহেতু স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। তাই যে কোন উপায়ে অনুরোধ করে অনুষ্ঠানে ফিরিয়ে আনার পর অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker